স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা পৌরসভা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ৭৬ হাজার ৪৯১ জন দুস্থ ও দরিদ্র পরিবারের মাঝে ভিজিএফ এবং মানবিক সহায়তা হিসেবে জনপ্রতি নগদ ৪৫০ টাকা করে বিতরণ করা হচ্ছে। তবে, ইউনিয়ন পর্যায়ে ভিজিএফ কমিটি কার্যকর থাকলেও অকার্যকর পৌরসভার ভিজিএফ কমিটি।
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে জেলার চার পৌরসভা ও চার উপজেলার সকল ইউনিয়ন পরিষদে ভিজিএফ ও মানবিক সহায়তা হিসেবে মোট ৩ কোটি ৪৪ লাখ ২১ হাজার ২৫০ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এরমধ্যে ভিজিএফ হিসেবে ২ কোটি ৪২ লাখ ২১ হাজার ২৫০ টাকা এবং মানবিক সহায়তা হিসেবে ১ কোটি ২ লাখ বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা পৌরসভায় ভিজিএফ’র ২০ লাখ ৭৯ হাজার ৪৫০ টাকা এবং মানবিক সহায়তা হিসেবে ২ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। সে হিসেবে ভিজিএফ’র টাকা পাচ্ছে ৪ হাজার ৬২১ জন এবং মানবিক সহায়তা পাচ্ছে ৪৪৪ জন। ভিজিএফ এবং মানবিক প্রত্যেকেই ৪৫০ টাকা হিসেবে টাকা পাবেন। পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে ৯ জন কাউন্সিলর ভিজিএফ কার্ড ২৯০টি করে মোট ২ হাজার ৬১০টি এবং ৩ জন মহিলা কাউন্সিলর ১২০টি করে ৩৬০টি কার্ড এবং মেয়র একাই ২ হাজার ৯৭০টি কার্ড পেয়েছেন। একইভাবে ৯টি ওয়ার্ডে ৯ জন কাউন্সিলর মানবিক সহায়তা হিসেবে ২৫টি করে ২২৫টি কার্ড, ৩ জন মহিলা কাউন্সিলর ১৫টি করে ৪৫টি কার্ড এবং মেয়র একাই ১৭৪টি কার্ড পেয়েছেন।
সদর উপজেলার মোমিনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক জোয়ার্দ্দার বলেন, তার ইউনিয়নে ৬০০ ভিজিএফ কার্ড এবং ৫৫০টি মানবিক সহায়তা কার্ড পাওয়া গেছে। ইউনিয়নের ভিজিএফ কমিটির মাধ্যমে প্রতিটি ওয়ার্ডে ৬০টি করে ভিজিএফ এবং ৫৫টি করে মানবিক সহায়তা কার্ড কমিটির মাধ্যমে বিতরণ করা হয়েছে।
দামুড়হুদা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শরীফুল আলম মিল্টন বলেন, তার ইউনিয়নে ২ হাজার ৯০৫টি ভিজিএফ এবং ৫৫০টি মানবিক সহায়তার টাকা পাওয়া গেছে। জনসংখ্যা অনুযায়ী প্রতিটি ওয়ার্ডে ১৭০টি থেকে ৪২৮টি ভিজিএফ কার্ড এবং ৫০টি করে মানবিক সহায়তার কার্ড ভিজিএফ কমিটির মাধ্যমে মেম্বার জনগণের মাঝে পৌঁছিয়ে দেবেন।
আলমডাঙ্গার হারদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম বলেন, তার ইউনিয়নে ৫৮৭ জনের ভিজিএফ এবং ৫০০ জনের মানবিক সহায়তার বরাদ্দ পাওয়া গেছে। ওয়ার্ডভিত্তিক ভিজিএফ কমিটি আছে। তারাই এগুলো বিভাজন করে বিতরণ করছে। ভিজিএফ কমিটি সম্পৃক্ত করলে দুর্নীতি কমে যাবে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার মেয়র জাহাঙ্গীর আলম মালিকের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার বলেন, এ বছর জনপ্রতি ভিজিএফ’র ৪৫০ টাকা করে দেয়া হচ্ছে। একইভাবে মানবিক সহায়তার ৪৫০ টাকা করে দিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত: ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী আদেশে বলা হয়েছে জেলা, উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে ভিজিএফ বিতরণে স্থানীয় পর্যায়ের মুক্তযোদ্ধা, শিক্ষক ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে সম্পৃক্ত করে একটি কমিটি গঠন করা আছে। ওই কমিটির প্রতিনিধিদের নিয়ে ভিজিএফ সুষ্ঠুভাবে বণ্ঠন করতে হবে।