চুয়াডাঙ্গায় ছাত্রশিবিরের উদ্যোগে টাঙানো জুলাই বিপ্লবে শহীদদের
স্মৃতি সম্বলিত ফেস্টুন ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদে মানববন্ধন
স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ চত্বরে জেলা ছাত্রশিবিরের উদ্যোগে জুলাই বিপ্লবের স্মৃতি সম্বলিত টাঙানো ফেস্টুন ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার বেলা ২টার দিকে সরকারি কলেজের সামনে মানববন্ধন করেছেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার নেতাকর্মীরা। এর আগে, গত রোববার সকালে জেলা ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীরা চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ প্রাঙ্গনে তাদের ফেস্টুন তছরুপ অবস্থায় দেখতে পান। এ সময় তারা ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং দ্রুত প্রশাসনের কাছ থেকে কার্যকর পদক্ষেপের আশায় চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। মানববন্ধনে জেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি সাগর আহমেদ বলেন, গত ৩০ জানুয়ারি বিকেলে চুয়াডাঙ্গা ছাত্রশিবিরের উদ্যোগে জুলাই বিপ্লবের স্মৃতি সম্বলিত জন্মভূমি ও মৃত্যু এবং শহিদের নাম দিয়ে তৈরিকৃত বাংলাদেশের মানচিত্র সম্বলিত কিছু ফেস্টুন কলেজের মেন ফটকে বেধে রাখা হয়। ১২ ফেব্রুয়ারি সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রশিবির কর্তৃক কলেজ ক্যাম্পাস পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযানের শেষে উক্ত ফেস্টুনটি সাইকেল স্ট্যান্ডে ঝুলিয়ে রাখা হয়। পরবর্তীতে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি রোববার আমাদের কিছু ভাইয়েরা কলেজ ক্যাম্পাসে এলে দেখতে পায় ফেস্টুন ভাঙচুর করা হয়েছে এবং তাতে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়েছে। পরে কলেজের সিসিটিভি ক্যামেরা চেক করে দেখা যায়, গত ১৬ ফেব্রুয়ারি শনিবার কিছু সংখ্যক দুর্বৃত্তরা রাতের আঁধারে কলেজ ক্যাম্পাসে ঢুকে আমাদের ফেস্টুন ভাঙচুর ও পুড়িয়ে দিয়েছে। সভাপতি সাগর আহমেদ বলেন, উক্ত কর্মকান্ডের মাধ্যমে ইসলামী ছাত্রশিবির ও জুলাই বিপ্লবে শহিদদের স্মৃতিটামে মুছে দেয়ার চেষ্টা করেছে। তারা কলেজের শান্তিপূর্ণ পরিবেশটাকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করেছে। তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার ছাত্রশিবিরের সাথে গাদ্দারি করে টিকে থাকতে পারিনি, সুতরাং এই কাজ যারা করেছেন তারা সাবধান হয়ে যান। কলেজ প্রশাসন ও জেলার পুলিশ প্রশাসনকে অতি দ্রুত জুলাই বিপ্লবে শহিদদের স্মৃতি অবমাননাকারীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি। মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রশিবিরের জেলা সেক্রেটারি হাফেজ আমিরুল ইসলাম, জেলা অর্থ সম্পাদক বায়েজিদ বোস্তামী, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ সভাপতি পারভেজ আলম, সরকারি কলেজ সেক্রেটারি মাসুদুর রহমানসহ অন্যান্য দায়িত্বশীলবৃন্দ এবং অত্র কলেজের শিক্ষার্থীবৃন্দ।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়, কিন্তু ট্র্যাকব্যাক এবং পিংব্যাক খোলা.