চুয়াডাঙ্গায় চৈত্রসংক্রান্তী ও বাংলা নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত
শোভাযাত্রায় তুলে ধরা হবে হাজার বছরের বাঙালিয়ানার বিভিন্ন ঐতিহ্য
স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় চৈত্রসংক্রান্তী ও বাংলা নববর্ষ-১৪৩২ উদযাপন উপলক্ষে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে ওই সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম। চৈত্র সংক্রান্তী ও বাংলা নববর্ষ যথাযথ মর্যাদায় বাঙালি ঐতিহ্য ও চেতনার ধারক-বাহক হিসাবে আনন্দ উৎসবের মধ্য দিয়ে উদযাপন করতে বিভিন্ন উপ-কমিটি গঠন করা হয়। প্রস্তুতি মূলক সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চৈত্র সংক্রান্তী ও বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উদযাপনের অংশ হিসেবে সকাল ৮ টায় চুয়াডাঙ্গা ভিজে স্কুল মাঠ থেকে জেলা শহরের সকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কলেজ ও সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের সদস্যরা আলাদা আলাদা দলে বিভক্ত হয়ে হাজার বছরের বাঙালিয়ানা সাজে সজ্জ্বিত হয়ে শোভাযাত্রা সহকারে শহর প্রদক্ষিণ করবে। খাঁটি বাঙালিয়ানা সাজে সজ্জ্বিত হয়ে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে শহীদ হাসান চত্বর মোড় ও কবরী রোড হয়ে চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ চত্বরে এসে শোভাযাত্রাটি শেষ করা হবে। এর আগে চুয়াডাঙ্গা জেলা শিল্পকলা একাডেমী চত্বরে (পানি উন্নয়ন বোর্ড সংলগ্ন) বাঙালির ঐতিহ্য তুলে ধরে অনুষ্ঠিত ৩তিন ব্যাপী লোকজ মেলার আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করবেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম। শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণকারী সকল প্রতিষ্ঠানের দল ও সদস্যদরা চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের ছায়া সুনিবিড় প্রাঙ্গণে ঢুকে বিশ্রাম গ্রহণ করবে। সে সময় চুয়াডাঙ্গা পৌরসভা ও সরকারি কলেজের যৌথ ব্যবস্থাপনায় মুড়ি, মুড়কি ও বাতসা বিতরণ করা হবে। প্রচন্ড গরমে পানি সরবরাহ করবে চুয়াডাঙ্গা জণস্বাস্থ্য অধিদপ্তর। চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের পক্ষ থেকেও থাকতে পারে পান্তা ইলিশের ব্যবস্থা।
উল্লেখ্য শোভাযাত্রায় বাঙালি সাজে সজ্জিত হয়ে হাজার বছরের বাঙালিয়ানার বিভিন্ন ঐতিহ্য তুলে ধরে যে সকল দল তাদের পারফরমেন্স ভালো করবে তাদেরকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিশেষ পুরস্কার প্রদান করা হবে। উপ-কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এ বছর প্রাথমিক বিদ্যালয় দলসমূহকে ‘ক’, মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে ‘খ’ এবং কলেজ ও সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের দলসমূহকে ‘গ’ বিভাগে বিভক্ত করা হয়। প্রত্যেক গ্রুপ থেকে প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় স্থান অধিকারী দলকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পুরস্কৃত করা হবে। সে পুরস্কারগুলো বিতরণ করা হবে তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত লোকজ মেলার সমাপনী দিনে। প্রস্তুতিমূলক সভায় উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর সিদ্দিকুর রহমান, সাবেক অধ্যক্ষ এসএম ইসরাফিল, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ডিডিএলজি শারমিন আক্তার, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এম সাইফুল্লাহ, এনডিসি সাইফুল ইসলাম সাইফ, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুর রহমান, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মুন্সি আবু সাইফ, চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক বিপুল আশরাফ, দৈনিক প্রথম আলোর সাংবাদিক শাহ আলম সনি, চুয়াডাঙ্গা সদর থানার পুলিশ ইন্সপেক্টর হোসেন আলী, চুয়াডাঙ্গা পৌর বিএনপির সভাপতি ও চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর সিরাজুল ইসলাম মনি, চুয়াডাঙ্গা জেলা জাসাসের সভাপতি শহিদুল হক বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক সেলিমুল হাবিব সেলিম, বৈষম্য বিরধী ছাত্র আন্দোলন চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার মুখ্য সংগঠক সজীবুল ইসলাম, সাকিব বিশ্বাসসহ চুয়াডাঙ্গার সকল সরকারি, বে-সরকারি দপ্তরের প্রতিনিধি, বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের প্রতিনিধিসহ আমন্ত্রিত অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন। প্রস্তুতি সভাটি পরিচালনা করেন চুয়াডাঙ্গা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মিজানুর রহমান।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়, কিন্তু ট্র্যাকব্যাক এবং পিংব্যাক খোলা.