স্টাফ রিপোর্টার: ভূট্টোর আবাদে দেশের শীর্ষস্থানীয় কয়েকটি জেলার মধ্যে চুয়াডাঙ্গা অন্যতম। মাঠের পর মাঠ ভূট্টোর আবাদে ভরা। তবে গতবারের তুলনায় এবার ২ হাজার ৩শ ৩৪ হেক্টর জমিতে ভূট্টার আবাদ কম হয়েছে। কেনো? কয়েক বছর ধরেই ভূট্টো ওঠার সময় বাজার মন্দার কারণে এবং অনেক সচেতন চাষি জমির উর্বরতা ফেরাতে ভূট্টোর আবাদ থেকে বিরত থেকেছেন বলে অনেকেই জানিয়েছেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের চুয়াডাঙ্গা উপ-পরিচালক মো. আলী হাসান বলেছেন, চুয়াডাঙ্গায় গতবছর ভূট্টার আবাদ হয়েছিলো ৪৮ হাজার ৫শ হেক্টর জমিতে। এবার আবাদ হয়েছে ৪৬ হাজার ১শ ৬৬ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় ১৫ হাজার ২০, জীবননগর উপজেলায় ৫ হাজার ৯০, আলমডাঙ্গা উপজেলায় ১৩ হাজার ১শ ৬ ও দামুড়হুদা উপজেলায় ১২ হাজার ৯শ ৫০ হেক্টর জমিতে ভূট্টার আবাদ হয়েছে। ভূট্টোচাষিদের মধ্যে হাবিবুর রহমান, হারিচ চৌধুরী, সাইদুর রহমানসহ অনেকেই প্রায় একই রকমের তথ্য দিয়ে বলেছেন, ভূট্টার আবাদ করতে বিঘা প্রতি প্রায় ১২ হাজার টাকা খরচ হয়। ফলন ভালো হলে ভালোই লাভ থাকে। কিন্তু যখনই ভূট্টা ওঠে তখনই মজুদদারদের দাপট বাড়ে। তারা বাজার দর কমিয়ে দেয়। কৃষকেরা প্রত্যাশিত লাভ থেকে বঞ্চিত হন। এরপরও বিঘা প্রতি ভূট্টার আবাদে লাভ একেবারে কম হয় না। বিনিয়োগের আড়াই থেকে ৩ গুন লাভ আসে। গতবছর ভূট্টা ওঠার সময় ৭শ ৫০ টাকা মণ বিক্রি হয়। এবার কেমন হবে কে জানে? ফাগুনের শেষের দিকে উঠবে ভুট্টো। এখন মাঠের পর মাঠ ভূট্টার সবুজ ক্ষেতে ভরা। কয়েকজন চাষি এবার ভূট্টার আবাদ করেননি। তাদের সাথে যোগাযোগ করা হলে বলেছেন, ভূট্টার চেয়ে অন্য খাটো আবাদের তুলনায় লাভ বেশি। তাছাড়া অনেকেই একই জমিতে বার বার ভূট্টার আবাদ করতে আগ্রহী নন। বার বার একই জমিতে ভূট্টার আবাদ করা হলে জমির উর্বর শক্তি হ্রাস পেতে পারে শঙ্কায় অনেকেই ভূট্টার আবাদ থেকে বিরত রয়েছেন।