স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার বলেছেন ‘ঈদগাহ বা খোলা জায়গা বা মাঠে কোনো ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হবে না। সকল মসজিদে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হবে। প্রয়োজন অনুযায়ী একই মসজিদে একাধিক জামায়াত অনুষ্ঠিত হবে। জনসমাগম এড়াতে সকাল সাড়ে সাতটা থেকে জামায়াত শুরু করা হবে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে একইভাবে ঈদের জামায়াত অনুষ্ঠিত হবে। গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১২টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরের নামাজের জামায়াতের বিষয়ে প্রস্তুতিমূলক সভায় জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার এসব কথা বলেছেন।
জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরের নামাজের জামায়াতের বিষয়ে প্রস্তুতিমূলক সভায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো. আবু তারেক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইয়াহ ইয়া খান, প্যানেল মেয়র মুন্সী রেজাউল করিম খোকন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক এবিএম রবিউল ইসলাম, জেলা উলামা পরিষদের সভাপতি মুফতি জুনাইদ আল হাবিবী, কোর্ট মসজিদের ইমাম মুফতি রুহুল আমিন, বুজরুকগড়গড়ি মাদরাসার ইমাম আব্দুর রাজ্জাক, পলাশপাড়া জামে মসজিদের ইমাম আবুবকর সিদ্দিক, জান্নাতুল মাওলা কবরস্থান জামে মসজিদের ইমাম মুফতি মামুনুর রশীদ, দিগড়ী জামে মসজিদের ইমাম হাফেজ মো. ইমরান, বেলগাছি গেট জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা সালাউদ্দিন, বায়তুল মামুর জামে মসজিদের ইমাম জাহিদ হাসান, জাতীয় ইমাম সমিতির সেক্রেটারি রুহুল আমিন, বায়তুল আমান জামে মসজিদের ইমাম হাফেজ মো: আব্দুল মজিদ, সোহেল আকরাম এবং অ্যাড. রফিকুল ইসলামসহ বিভিন্ন মসজিদের ইমামগণ উপস্থিত ছিলেন।
জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার আরো বলেন, সবকিছুর ওপর বিধি নিষেধ আরোপ করা হয়েছে। ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় নির্দেশনা দিয়েছে। আমাদের স্বাস্থ্যগত দিক রক্ষা করা হয় এবং ধর্ম পালন করা যায়। এবার অন্যরকম পরিবেশে ঈদ হচ্ছে। সকাল সাড়ে ৭টায় প্রথম ঈদের নামাজ শুরু হবে এবং ৪৫ মিনিট পরপর পরবর্তী জামায়াত অনুষ্ঠিত হবে। ওজু বাড়ি থেকে করে মসজিদে আসবেন। তথ্য অফিস ও মসজিদের মাইকে বিষয়গুলো প্রচার করতে হবে। শহরে পুলিশ ও গ্রামে গ্রাম পুলিশ পাহারার ব্যবস্থা করা হবে। মসজিদে কোনো কার্পেট বিছানো যাবে না। প্রতিবার নামাজের পূর্বে সম্পূর্ণ মসজিদ জীবাণুনাশক দ্বারা পরিস্কার করতে হবে। শিশু, বয়োবৃদ্ধ যে কোনো অসুস্থ ব্যক্তি এবং অসুস্থদের সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তি ঈদের জামায়াতে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। নামাজ শেষে কোলাকুলি বা পরস্পর হাত মেলানো যাবে না। করোনা ভাইরাস মহামারী থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরের নামাজ শেষে মহান রাব্বুল আলামিনের দরবারে দোয়া করার জন্য সকল খতিব ও ঈমামগণকে অনুরোধ করা হলো।