চুয়াডাঙ্গায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে অধ্যাপক মাহবুবুর আগামী নির্বাচনে ইসলামী নীতি আদর্শ বাস্তবায়নের জন্য কাজ করতে হবে

পুনরায় সভাপতি হাসানুজ্জামান সজিব ও সেক্রেটারি তুষার ইমরান সরকার

স্টাফ রিপোর্টার: ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বলেছেন, ইসলামী নীতি আদর্শের মাধ্যমেই দুনিয়ায় শান্তি ও আখেরাতে মুক্তি। আগামী নির্বাচনে ইসলামী নীতি আদর্শ বাস্তবায়নের জন্য কাজ করতে হবে। ৫৩ বছরে যারা শাসন করেছে তারা নতুন করে কোনো আশা দেখাতে পারবে না। এখন তাদেরকে পরিবর্তন করতে হবে, ইসলামকে ক্ষমতায় আনতে হবে। বাতিলকে পরাজিত করতে হবে। মায়ের কোল খালি করা আর বিদেশে টাকা পাচার করে বেগমপাড়া তৈরির রাজনীতি দেশের মানুষ চায় না। গতকাল সোমবার বিকেলে চুয়াডাঙ্গায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার এ সরকার নয়। তারা গণ অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছে। তাদের দুর্বলতা কোথায়? পিআর পদ্ধতির নির্বাচন হতে বাঁধা কোথায়? চাঁদাবাজ ও খুনীদের এদেশের মানুষ ক্ষমতায় দেখতে চায় না। যারা অসংখ্য মায়ের বুক খালি করেছে। তাদেরকে যারা নির্বাচনে আহ্বান করে তারা জনগণের সাথে ধোঁকাবাজি করছে। তাদের ধোঁকাবাজি জনগণ বুঝতে পারছে। অন্য রাজনৈতিক দলের অবস্থান স্পষ্ট করতে হবে। পিআর পদ্ধতির মাধ্যমে জাতীয় সরকার গঠনে কেউ ভয় পায় কেন? উচ্চ কক্ষ হোক আর নিন্মকক্ষ হোক সব নির্বাচন পিআর পদ্ধতির হতে হবে। অনুষ্ঠানে সভপতিত্ব করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সভাপতি হাসানুজ্জামান সজিব। প্রচার ও দাওয়াহ বিষয়ক সম্পাদক আশিকুল আলম সজীব ও যুব নেতা মীর শফিউল, শ্রমিক নেতা মাওলানা সাইফুল ইসলামের যৌথ পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জাতীয় উলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সহ-সভাপতি মাওলানা জহুরুল ইসলাম আজিজী। আরও বক্তব্য রাখেন চুয়াডাঙ্গা জেলা উলামা পরিষদের সভাপতি ও জেলা ইসলামী আন্দোলনের উপদেষ্টা মুফতী জুনাইদ আল হাবিবী, ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের জেলা সভাপতি ইবরাহিম হোসেন, ইসলামী যুব আন্দোলনের জেলা সভাপতি মীর শফিউল ইসলাম, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের জেলা সাধারণ সম্পাদক মাওলানা সাইফুল ইসলাম, জাতীয় উলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের জেলা সেক্রেটারি মাওলানা সাজেদুর রহমান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সেক্রেটারি তুষার ইমরান সরকার। অনুষ্ঠান শেষে প্রধান অতিথি জেলা শাখার কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে শুরায়ী পদ্ধতিতে মনোনীত নতুন জেলা কমিটি ঘোষণা করেন। এতে পুনরায় সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন হাসানুজ্জামান সজিব ও সেক্রেটারি তুষার ইমরান সরকার। এছাড়াও কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন সহ-সভাপতি আলহাজ রুহুল আমীন সোহেল, মাওলানা জহুরুল ইসলাম আজিজী, এনামুল কবীর জিপসী, জয়েন্ট সেক্রেটারি মো. আলিমুজ্জামান, অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মো. মনিরুজ্জামান সোহেল, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ফারুক হোসেন, প্রচার ও দাওয়াহ বিষয়ক সম্পাদক আশিকুল আলম সজীব, দফতর সম্পাদক মো. শামীম হোসেন, অর্থ ও প্রকাশনা সম্পাদক মো. বনি আমীন, প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওলানা কেএম সাইফুল্লাহ, শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক মো. হাসানুজ্জামান, আইন ও মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক আকরাম হুসাইন সাইরাফী, কৃষি ও শ্রম বিষয়ক সম্পাদক মো. মোসারেফ হোসেন, মহিলা ও পরিবার কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মো. আমিনুল ইসলাম, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মো. রাশিদুল ইসলাম, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক আবুল কাশেম, সংখ্যালঘু বিষয়ক সম্পাদক শাকের আলী, শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক ইকতিয়ার উদ্দীন রানা বিশ্বাস, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক ডা. জসিম উদ্দিন, সহ-সাংগঠনিক আবু বকর সিদ্দীক, সহ-প্রচার ও দাওয়াহ বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল হক, সহ-দফতর বিষয়ক সম্পাদক নাসির উদ্দীন, সহ-অর্থ ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক লিটন মিয়া, সহ-প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা লুৎফুর রহমান, সদস্য মুফতী রশিদ আহমাদ, সদস্য মুফতী আব্দুস সালাম, আলহাজ সায়েদার, মাওলানা সাজেদুর রহমান, মো. নাজিম উদ্দীন, আবদুল মজিদ, ওমর ফারুক ও আব্দুল মোমিন।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়, কিন্তু ট্র্যাকব্যাক এবং পিংব্যাক খোলা.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More