চুয়াডাঙ্গায় আরও ৬ জন করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত
বর্তমানে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ১০৪ জন : বাড়িতেই চিকিৎসাধীন ৯০ জন
স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় আরও ৬ জন করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। ২৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করে যে ৬ জন কোভিড-১৯ পজেটিভ হয়েছেন এদের সকলেই চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বাসিন্দা। এর মধ্যে জেলা শহরের পৃথক মহল্লার ৪ জন। গতকাল রোববার চুয়াডাঙ্গা স্বাস্থ্য বিভাগ আরও ২৬ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য কুষ্টিয়া পিসিআর ল্যাবে প্রেরণ করেছে।
চুয়াডাঙ্গা স্বাস্থ্য বিভাগের হাতে রোববার ২৩ জনের নমুনা পরীক্ষার ফলাফল আসে। এ মধ্যে নতুন ৬ জনের কোভিড-১৯ পজেটিভ হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৮৫৫ জন। সুস্থ হয়েছেন আরও ২ জন। এ নিয়ে জেলায় মোট সুস্থ হলেন এক হাজার ৬৯৭ জন। নতুন যে ৬ জন শনাক্ত হয়েছেন এদের মধ্যে বাগানপাড়ার একজন, হাটকালুগঞ্জের একজন, এতিমখানাপাড়ার একজন, কোর্টপাড়ার একজন, আলুকদিয়ার একজন ও বদরগঞ্জের আরও একজন। এ ৬ জনের মধ্যে দুজন নারী ও ৪ জন পুরুষ। বর্তমানে চুয়াডাঙ্গায় সক্রিয় রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০৪ জন। এর মধ্যে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ৭১ জন, আলমডাঙ্গা উপজেলার ৯ জন, দামুড়হুদা উপজেলার ১৩ জন ও জীবননগর উপজেলার ১১ জন। সদর উপজেলার ৭১ জনের মধ্যে হাসপাতালে ৫ জন, রেফার রয়েছেন ৪ জন বাকি ৬২ জন বাড়িতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আলমডাঙ্গা উপজেলার ৯ জনের মধ্যে একজন হাসপাতালে ৮ জন বাড়িতে। এদের মধ্যে একজনের পুনঃ পরীক্ষার জন্য শনিবার নমুনা প্রেরণ করা হয়। রোববার তার পরীক্ষার রিপোর্টে আবারও করোনা পজেটিভ হয়েছে। দামুড়হুদা উপজেলার ১৩ জনের মধ্যে ১১ জন বাড়িতে ও দুজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। জীবননগর উপজেলার ১১ জনের মধ্যে একজন হাসপাতালে, একজন রেফার ও ৯ জন বাড়িতে চিকিৎসাধীন।
চুয়াডাঙ্গা স্বাস্থ্য বিভাগ এ পর্যন্ত মোট ৯ হাজার ২০১ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য প্রেরণ করেছে। রিপোর্ট পাওয়া গেছে ৮ হাজার ৯৭৩ জনের। এর মধ্যে পজেটিভ হয়েছে এক হাজার ৮৫৫ জনের। সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ৬৯৭ জন। মারা গেছেন ৫৪ জন। এর মধ্যে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ২৪ জন, আলমডাঙ্গা উপজেলার ১৬ জন, দামুড়গহুদা উপজেলার ১১ জন ও জীবননগর উপজেলার ৩ জন। জীবননগরের আন্দুলবড়িয়ার একজন যশোরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। এ মৃত্যুর হিসেবে অবশ্য স্বাস্থ্য বিভাগের হাতে নেই। এছাড়াও আরও দুজনের মৃত্যুর হিসেবে স্বাস্থ্য বিভাগের খাতায় নেই।
কঠোর লকডাউন কিছু ক্ষেত্রে শিথিল করা হয়েছে। বিশেষ করে শর্তসাপেক্ষে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য দোকান বিপনি বিতান খুলে দেয়া হয়েছে। রোববার দোকান খোলার প্রথম দিনে ক্রেতা বিক্রেতাদের ভিড়ে চুয়াডাঙ্গা শহর ছিলো মুখোরিত। অনেকেরই ছিলো না মাস্ক। অথচ স্বাস্থ্যবিধি না মেনে চললে বড় ধরনের বিপর্যয় হতে পারে। পাশর্^বর্তী ভারতের অবস্থা অনেকটাই বেশামাল। ফলে সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পুনঃ পুনঃ অনুরোধ জানানো হচ্ছে। প্রশাসনের তরফেও বিশেষ তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।