চুয়াডাঙ্গার সিপি বাংলাদেশের অ্যাসিসটেন্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট রনির বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ
ডিঙ্গেদহ প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গা সদরের সিপি বাংলাদেশের অ্যাসিসটেন্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট রনির বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার প্রতিবাদ করায় সিপি বাংলাদেশের এক কর্মকর্তাকে বদলিসহ কেন চাকুরিচ্যুত করা হবে না মর্মে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হয়েছে। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী সিপি বাংলাদেশের সেলস ডিপার্টমেন্টের সেকশন ম্যানেজার ডা. শাহ জামাল হোসেন জানান ৫বছর ধরে সিপি বাংলাদেশে সুনামের সাথে চাকুরি করে আসছে। এরই ফলশ্রুতি হিসেবে ২০২১ সালে সিপি বাংলাদেশের কতৃপক্ষ ইয়াং টেলেন্ট অব সিপি বাংলাদেশ নির্বাচিত করেন। চুয়াডাঙ্গা সদরের সুবদিয়ার সিপি বাংলাদেশের এ্যাসিসটেন্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট রনি সিপি বাংলাদেশের বিভিন্ন অনিয়ম শুরু করেন। সিপি বাংলাদেশ থেকে উৎপাদিত পল্ট্রি মুরগির ১ দিনের বাচ্চা প্রতিদিন বিক্রি করে শেষ করার কথা। যদি কোন কারণে মুরগি বিক্রি না হয় তবে বাসী মুরগি হিসেবে মুরগির পিচ প্রতি ৭/৮ টাকা কমে বাসী মুরগি বিক্রি করার কথা। কিন্তু এ্যাসিসটেন্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট রনি বাসী মুরগির বাচ্চা ১দিনের মুরগির বাচ্চার সাথে মিশিয়ে বিক্রি করে দেয়। উৎপাদিত বাচ্চা এ, বি,সি গ্রেড হিসেবে ভাগ করা হয়। কিন্তু মুরগির বাচ্চাগুলো আলাদা আলাদা গ্রেডে আলাদা মুল্যে বিক্রি করার নিয়ম কিন্তু সেই মুরগি গুলো গ্রেড হিসেবে বিক্রি না করে মিশিয়ে একসাথে প্রতারণা করে বিক্রি করেন। এর ফলে প্রতারণার স্বিকার হয়ে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে খামারিরা। এ ছাড়াও সিপি বাংলাদেশের উৎপাদিত পল্ট্রি ফিড সিপি বাংলাদেশ থেকে নিযুক্ত ফিড ডিলারদের কাছে সরবরাহ করবেন এবং ডিলাররা সেই ফিড বাজারে সরবরাহ করবেন। কিন্তু এ্যাসিসটেন্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট রনি রহস্যজনক কারণে সকল ডিলার বাদ দিয়ে চুয়াডাঙ্গা সদরের সুমন পল্ট্রি ও কুষ্টিয়ার ইসলাম পল্ট্রি ফিড ডিলারকে সরবরাহ করেন। অন্যান্য ডিলাররা ফিড নিতে চাইলে রনি, সুমন ও ইসলাম পল্ট্রি ডিলারদের নিকট থেকে নেয়ার কথা বলেন। এ সকল অনিয়মের প্রতিবাদ করলে রনি সিপি বাংলাদেশের সেলস ডিপার্টমেন্টের সেকশন ম্যানেজার ডা. শাহ জামালকে রাজবাড়ী মিলে বদলী করেন। সুবদিয়া সিপি বাংলাদেশ থেকে বঞ্চিত ডিলাররা রাজবাড়ীর সজিব পল্ট্রি ডিলারের নিকট থেকে পল্ট্রি ফিড নিতে শুরু করে এর ফলে চুয়াডাঙ্গার সুমন ও কুষ্টিয়ার ইসলাম পল্ট্রি ডিলারের মাল বিক্রি কম হয়ে যায়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ডা. শাহ জামাল হোসেনকে চাকুরিচ্যুত করা হবেনা মর্মে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করেন। এর প্রেক্ষিতে ২৬ সেপ্টেম্বর কারণ দর্শানোর নোটিশের উত্তর দেন। এ চিঠির প্রেক্ষিতে পুণরায় শোকচের উত্তরের স্বাক্ষ প্রমাণ হাজির করার জন্য পুনরায় চিঠি দিয়ে জানানো হয়। এর প্রেক্ষিতে গত ৮অক্টোবর স্বাক্ষি নিয়ে আসলে স্বাক্ষিদেরসহ হাজির হলে স্বাক্ষিদেরসহ ডা. শাহ জামাল হোসেনকে সিপি বাংলাদেশের মধ্যে প্রবেশ করতে বাধা প্রদান করা হয়। এ ব্যাপারে দুপুর ১টা ২৫মিনিটের সময় সিপি বাংলাদেশের অ্যাসিসটেন্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট রনির নিকট মাথাভাঙ্গার সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেন দেখা করতে চাইলে সিকিউরিটি সুপারভাইজার আমজাদ হোসেন বলেন রনি সাহেব ১টার সময় খেতে গিয়েছে আপনি ২টার দিকে আসেন। এরপর ৩টা ৩৫মিনিটের সময় পুনরায় রনির সাথে দেখা করতে আসলে সিকিউরিটি সুপারভাইজার ইমতাদুল বলেন রনি সাহেব বুধবার থেকে ছুটিতে আছেন, উনি অফিসে আসেননি। আর এক সিকিউরিটি পারভেজ বলেন উনি ২টার দিকে বেরিয়ে গেছেন আজ আর আসবেন না। তার সাথে দেখা করা নিয়ে কেন এত লুকোচুরি। এ ব্যাপারে এ্যাসিসটেন্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট রনির সাথে দেখা করতে না পারায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য ঊর্ধ্বতন কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে ভুক্তভোগী ডা. শাহ জামাল হোসেন ও ডিলাররা।