স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় নিজের পাতা ফাঁদে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে শাহিন (৩০) নামে এক যুবকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে নিজ বাড়িতে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত শাহিন সদর উপজেলার শঙ্করচন্দ্র গ্রামের আনসার ক্যাম্পপাড়ার মকছেদ আলীর ছেলে। মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শঙ্করচন্দ্র ইউনিয়নের (ইউপি) সদস্য শওকত আলী। তিনি নিহতের স্বজনদের বরাত দিয়ে দৈনিক মাথাভাঙ্গাকে বলেন, শাহিন নিজ বাড়িতে হাঁস, মুরগীসহ কবুতর পুষতেন। মাঝে মধ্যেই বেজি এসে কবুতর ও মুরগী ধরে নিয়ে যেতো। এ কারণে নেট দিয়ে মুরগী, হাঁস ও কবুতর ঘর ঘিরে রাখেন। মঙ্গলবার দুপুরে কবুতর ধরতে এলে নেটে বেজি আটকিয়ে যায়। এসময় বেজিকে লাঠি দিয়ে মারতে গেলে বিদ্যুতের তার ছিড়ে নেটের ওপর পড়ে। এতে ফাঁদ পাতা নেটে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে গুরুতর আহত হন শাহিন। পরে পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়ার আগেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তিনি। অভিযোগ না অবেদনের প্রেক্ষিতে সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে মরদেহ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করেছে পুলিশ। প্রতিবেশী রাজন বলেন, বেজির অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে হাঁস, মুরগী কবুতর জন্য বাড়ির চারিদিকে নেট দিয়ে ফাঁদ পাতেন শাহিন। এতে বিদ্যুতের সংযোগ দেন। আজ ওই ফাঁদপাতা নেটের তারে বেজি ধরা পড়লে মনের ভুলে হাত দিলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয় শাহিন। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তিনি আরও বলেন, শাহিন বিভিন্ন এলাকায় বিস্কুট বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। তার দুই ছেলে-মেয়ে। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. জোবাইদা জামান জয়া দৈনিক মাথাভাঙ্গাকে বলেন, শাহিনকে হাসপাতালে নিয়ে এলে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। হাসপাতালে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমানের সরকারি নাম্বারে কল করা হলে তিনি রিসিভ না করায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।