চুয়াডাঙ্গার মুন্সিগঞ্জে নিহত কামাল হোসেনের মরদেহ দাফন সম্পন্ন
হয়নি মামলা : ২৪ ঘণ্টা পার হলেও আটক হয়নি কেউ
স্টাফ রিপোর্টার: আলমডাঙ্গার মুন্সিগঞ্জে নিহত সাবেক বিএনপি নেতা ও ঠিকাদার কামাল হোসেনের মরদেহ দাফনকাজ সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বাদ আছর মুন্সিগঞ্জ ফুটবলমাঠে জানাজার নামাজ শেষে মুন্সিগঞ্জ জান্নাতুল ফেরদৌস কবরস্থানে দাফনকাজ সম্পন্ন করা হয়। এর আগে গতকাল দুপুর ১টার দিকে সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে কামাল হোসেনের মরদেহ নিহতের পরিবারের নিকট হস্তান্তর করে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ। দুপুরে মরদেহ গ্রামের বাড়ি মুন্সিগঞ্জের ক্লিনিকপাড়ায় পৌঁছুলে এলাকায় নেমে আসে শোকের ছায়া। বিকেলে জানাজার নামাজ শেষে দাফনকাজ সম্পন্ন করা হয়। চার ভাইবোন মধ্যে কামাল হোসেন ছিলেন সবার ছোট। তিনি দুই সন্তানের জনক। জেহালা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক ওয়ার্ড ১, ২, ৩ নং ইউপি সদস্য ছিলেন। বিএনপির সক্রিয় নেতা হিসেবেও পরিচিত ছিলেন। পাশাপাশি তিনি ঠিকাদারি ব্যবসা করতেন।
এদিকে হত্যাকা-ের ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও হত্যাকারীকে চিহ্নিত করতে পারলে আটক করতে পারেনি পুলিশ। গতকাল রাত ১টা পর্যন্ত নিহতের পরিবারের সদস্যরা থানায় কোন মামলা বা অভিযোগ করেনি বলেও নিশ্চিত করেছেন আলমডাঙ্গা থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল আলিম। তিনি বলেন, এখনো মামলা হয়নি। তবে পুলিশ নিজ থেকে তদন্ত শুরু করেছে। হত্যাকারীদের আটকের জন্য অভিযান চলছে।
গত সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে মুন্সিগঞ্জ ক্লিনিকপাড়ায় শরিকানা জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে কামাল হোসেনকে পিটিয়ে ও ছুরিকাঘাত করে ফেলে রেখে যায় তারই মামাতো বোনের জামায় স্বাধীন। পরে পরিবারের সদস্যরা প্রথমে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সদর হাসপাতালে রেফার করেন। পরে হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের স্ত্রী সেলিনা খাতুন বলেন, মৃত মোতাহার হোসেনের জামাই স্বাধীনের সাথে আমার স্বামীর শরিকানা জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলছিল। প্রায়ই আমার স্বামীকে মারধর করতে আসতো। এরই জের ধরে আমার স্বামীকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে স্বাধীন। মৃত্যুর আগে তাকে আমি জিজ্ঞাসা করি কে মেরেছে? স্বাধীনের নাম বলতেই তিনি হ্যাঁ বলেন। স্বাধীনই আমার স্বামীকে মেরে ফেলেছে।
আলমডাঙ্গা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল আলিম দৈনিক মাথাভাঙ্গাকে বলেন, নিহতের পরিবার অভিযোগ বা মামলা করেনি। এখন পর্যন্ত কেউ আটক হয়নি। পুলিশ নিজ থেকে তদন্ত শুরু করেছে। জড়িতদের চিহ্নিত করে আটকের জন্য অভিযান চলছে। তিনি আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি নিহত কামাল হোসেনের সঙ্গে তারই মামাতো বোন জামাই স্বাধীনের সাথে শরিকানা জমিজমা নিয়ে বিরোধ ছিল। এরই জের ধরে কামাল হোসেনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। মামলা হলে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন করা হবে এবং আসামিদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।