চুয়াডাঙ্গার নেহালপুরে একই দিনে দুজনের আত্মহত্যা

স্টাফ রিপোর্টার : চুয়াডাঙ্গার নেহালপুর ইউনিয়নের দোস্ত গ্রামে ঘুমের বড়ি খেয়ে স্কুল ছাত্রী ও কৃষ্ণপুর বেলেমাঠপাড়ায় গলায় দড়ি দিয়ে দিনমজুর আত্মহত্যা করেছেন। ময়নাতদন্ত শেষে দু’জনেরই দাফন কাজ শেষ করেছে পরিবারের লোকজন। ঘটনা দু’টি ঘটেছে গত বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টার দিকে।
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার নেহালপুর ইউনিয়নের দোস্ত গ্রামের ভূঞাপাড়ার নুরু মিয়ার মেয়ে নবম শ্রেণির ছাত্রী শিলা আক্তার নিশি (১৪) পরীক্ষায় ফেল করায় মা-বাবা বকাঝকা করে। গত বৃহস্পতিবার পরিবারের লোকজনের সাথে অভিমান করে ঘুমের ওষুধ খেয়ে ঘরে ঘুমিয়ে পড়ে। বিকেল ৫টার দিকে বাড়ির লোকজন ঘরের দরজা খুলে দেখতে পায় নিশির নিথর দেহ পড়ে আছে খাটের ওপর। পরে স্থানীয় ডাক্তারের নিকট নিয়ে গেলে নিশি মারা গেছে বলে জানান।
অপরদিকে, একই ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর বেলেমাঠ পাড়ার মানিকের ছেলে দিনমজুর হযরত আলী (২০) পারিবারিক অশান্তি সহ্য করতে না পেরে একই দিন নিজ ঘরে গলায় দড়ি দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন। সন্ধ্যার আগে বাড়ির লোকজন ঘরের দরজা খুলে দেখতে পান হযরত আলী ঘরের আড়ার সাথে গলাই দড়ি দিয়ে ঝুলছে। একই দিন প্রায় একই সময়ে দু’জনের আত্মহত্যার খবরে এলাকার বাতাস ভারি হয়ে ওঠে। গতকাল শুক্রবার বাদ আছর দু’জনেরই ময়না তদন্ত ও নামাজে জানাজা শেষে গ্রাম্য কবরস্থানে দাফন কার্য সম্পন্ন করেছে পরিবারের লোকজন।
এদিকে হিজলগাড়ী ক্যাম্প পুলিশের ইনচার্জ এএসআই আমিরুল ইসলাম বলেন, পরীক্ষায় ফেলে করে ঘুমের বড়ি খেয়ে নিশি এবং পারিবারিক বিরোধের জের ধরে গলায় রশি দিয়ে হযরত আত্মহত্যা করেছেন। তবে অন্য কোন কারণ আছে কী-না তা ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়, কিন্তু ট্র্যাকব্যাক এবং পিংব্যাক খোলা.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More