স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার নীলমনিগঞ্জে মিতুল হোসেন নামের এক যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বন্ধুরা মিতুলকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। মিতুল হোসেন (২৩) চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার মোমিনপুর ইউনিয়নের নীলমনিগঞ্জ গ্রামের ক্লিনিকপাড়ার মনিরুজ্জামান জোয়ার্দ্দারের ছেলে। তিনি কুষ্টিয়ায় একটি কলেজে অধ্যায়নরত ছিলেন এবং তিনি বিবাহিত ছিলেন বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। এর আগে, শুক্রবার সকাল আনুমানিক সাড়ে ১০টার দিকে নিজ বাড়িতে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান তার বোন ও বন্ধুরা। গতকালই রাত ৮টার দিকে আলমডাঙ্গা উপজেলার বটিয়াপাড়ায় জানাজা শেষে মিতুলের দাফন সম্পন্ন করা হয়। নিহতের পরিবার ও স্থানীয়দের দাবি, মিতুল আত্মহত্যা করেছেন। তবে কি কারণে আত্মহত্যা করেছেন তা স্পষ্টভাবে কেউ বলতে পারেনি। এমনকি পুলিশও প্রাথমিক কারণ জানাতে পারেনি। বিনা ময়নাতদন্তে শুক্রবার রাত ৮টার দিকে আলমডাঙ্গা উপজেলার বটিয়াপাড়ায় জানাজা শেষে মিতুলের দাফন সম্পন্ন করা হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সকালে নিজের ফেসবুক আইডিতে আত্মহত্যার ইঙ্গিত করে পোস্ট করেন মিতুল। পোস্টটি তার বন্ধুদের নজরে পড়লে তাৎক্ষণিক মিতুলের বোনকে সাথে নিয়ে নীলমনিগঞ্জের বাড়িতে যান। সেখানে পৌছে তারা মিতুলকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। পরে মিতুলকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ বিষয়ে জানতে শুক্রবার রাতে দৈনিক মাথাভাঙ্গার পক্ষ থেকে মিতুলের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি। এ কারণে নিহত মিতুলের পরিবারের মন্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। স্থানীয় রমজান হোসেন নামের এক বাসিন্দা দৈনিক মাথাভাঙ্গাকে বলেন, মিতুল বিবাহিত ছিলেন। পাশাপাশি কুষ্টিয়ায় একটি কলেজে পড়াশোনা করতেন। এছাড়া কিছুদিন যাবত মোবাইল কেনা-বেচাও করতেন। আমি লোকমুখে শুনেছি, মিতুল ও তার স্ত্রীর মধ্যে কোন কারণে মনোমালিন্য চলছিল। এজন্য মিতুলের স্ত্রী বাবার বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। অনেক চেষ্টার পরও তার স্ত্রীকে নিজ বাড়িতে আনতে পারেনি। হয়তো সেই কারণে আত্মহত্যা করেছে। রাতেই আলমডাঙ্গা উপজেলার বটিয়াপাড়ায় জানাজার নামায শেষে মিতুলের দাফন সম্পন্ন করা হয়। চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ওসি খালেদুর রহমান দৈনিক মাথাভাঙ্গাকে বলেন, ফেসবুকে পোস্ট করার পর তার বন্ধুরা মিতুলের বোনের বাড়িতে যান এবং বোনকে সঙ্গে নিয়ে মিতুলের বাড়িতে পৌছে মিতুলকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। পরে মিতুলকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মিতুল কলেজছাত্র ছিলেন বলে জেনেছি। তিনি আরও বলেন, এর আগেও একবার আত্মহত্যার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছিলেন বলে পরিবারের সূত্রে জানা গেছে। অভিযোগ না থাকায় আবেদনের প্রেক্ষিতে সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত শেষে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশনায় ময়নাতদন্ত ছাড়ায় মরদেহ দাফনের অনুমতি দেয়া হয়েছে।
পূর্ববর্তী পোস্ট
পরবর্তী পোস্ট
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়, কিন্তু ট্র্যাকব্যাক এবং পিংব্যাক খোলা.