চুয়াডাঙ্গার তিতুদহ ইউপি নির্বাচনে ৪ জনের মনোনয়পত্র সংগ্রহ : নৌকা ঠেকাতে আ.লীগ নেতার বিপক্ষে বিএনপি নেতার প্রত্যয়ন
স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আরও ৪ জন পুরুষ প্রার্থী মনোনয়পত্র সংগ্রহ করেছেন। সেই সাথে ১ জন চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ ২৭ জন মেম্বার প্রার্থী তাদের মনোনয়পত্র জমা দিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তার নিকট। এ পর্যন্ত চেয়ারম্যান পদে ৪ জন, পুরুষ সদস্য পদে ৩৮ জন এবং মহিলা সদস্য পদে ৭ জন প্রার্থী মনোনয়পত্র সংগ্রহ করেছেন। এ নিয়ে চেয়ারম্যান, মেম্বার (পুরুষ) ও মহিলা মেম্বার নিয়ে মোট ৪৯ জন প্রার্থী মনোনয়পত্র সংগ্রহ করেছেন। এদিকে সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে আ.লীগের দলীয় প্রতীক পান তিতুদহ ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি শুকুর আলী। নৌকা প্রতীক ঠেকাতে তিতুদহ ইউনিয়ন বিএনপি’র আহ্বায়ক শুকুর আলীকে বিএনপি নেতা বানিয়ে দলীয় প্যাডে দিয়েছেন প্রত্যয়নপত্র।
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে গতকাল রোববার আরও ৪ জন পুরুষ সদস্য নতুন করে মনোনয়পত্র সংগ্রহ ও ২৭ প্রার্থী মনোনয়পত্র জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ১ জন, সাধারণ সদস্য পুরুষ পদে ২০ জন এবং মহিলা সদস্য পদে ৬ জন মনোনয়পত্র জমা দিয়েছেন। এদিকে সব উৎকণ্ঠার অবসান ঘটিয়ে শেষমেষ দলীয় প্রতীক পেয়েছেন ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি শুকুর আলী। তিনি অভিযোগ করে বলেন, আমার জানামতে এ নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির কোনো প্রার্থী এখন পর্যন্ত মনোনয়পত্র সংগ্রহ করেনি। তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলেও আমি যাতে কোনোভাবেই দলীয় প্রতীক নৌকা না পায়, তা ঠেকাতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল ৬নং তিতুদহ ইউনিয়ন শাখার আহ্বায়ক আবুল হাসেম দলীয় প্যাডে আমাকে ৫নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সভাপতি বানিয়ে সই স্বাক্ষর ও সীল মেরে প্রত্যয়নপত্র দিয়েছেন। যা নৌকা প্রত্যাশী অন্যান্য প্রার্থীরা কেন্দ্রীয় মনোনয়বোর্ড সভাপতির নিকট জমা দিয়েছেন। যার কপি আমার হাতে এসে পৌঁছিয়েছে। বাংলদেশ আওয়ামী লীগ একটি বৃহত্তর রাজনৈতিক সংগঠন। দলে নেতাকর্মীও অনেক। দলীয় প্রতীকের জন্য প্রতিযোগিতা থাকতেই পারে। তাই বলে এক দলের আভ্যন্তরীন বিষয়ে অন্যদলের খবরদারি শোাভনীয় না। এটা দুঃখজনক এবং নিন্দনীয়। তাও আবার দলীয় প্যাডে সীল স্বাক্ষর ব্যবহার করে। প্রতিযোগিতায় জয় পরাজয় আছে থাকবে। আশা করি এহেন কর্মকা- থেকে তারা বিরত থাকবেন।
এ ব্যাপারে সদর উপজেলা বিএনপি’র সাবেক দপ্তর সম্পাদক তারিকুল আলম বিলু বলেন, ১৮ মে ২০১৯ সালে বিএনপির উপজেলা ও ইউনিয়ন বিএনপির সকল কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে। অথচ মো. আবুল হোসেন কিভাবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল ৬নং তিতুদহ ইউনিয়ন শাখার আহ্বায়ক হলেন ও ১০.১০.২১ ইং তারিখে উনি কিভাবে প্রত্যয়নপত্র দিলেন তা আমার বোধগম্য নয়।
তিতুদহ ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি মিলন মিয়া জানান, ২০১৯ ইং সালে ইউনিয়ন কমিটি বিলুপ্ত হয়েছে। কিভাবে তিনি নিজেকে আহ্বায়ক দাবি করে প্রত্যয়ন দিলেন তা আমিও জানিনা। এ ব্যাপারে তিনিই ভালো বলতে পারবেন।
উল্লেখ্য, আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি তিতুদহ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। ১৬ হাজার ৬২ জন ভোটার ভোট দিয়ে ৫ বছরের জন্য তাদের জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করবেন।