সাধারণ সদস্য প্রার্থীরা জয়ের ব্যাপারে সকলেই আশাবাদী
নজরুল ইসলাম: চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ৭ ফেব্রুয়ারি। নির্বাচন উপলক্ষে ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডে ৪জন এবং ২নং ওয়ার্ডে ৫জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। প্রতীক হাতে পাওয়ার পর কনকনে শীতে বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে চালিয়ে যাচ্ছেন প্রচার প্রচারণা। জয়ের ব্যাপারে প্রত্যেক প্রার্থীই শতভাগ আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। তবে ভোটাররা জানিয়েছেন, প্রার্থীর অতীত ও বর্তমান যাচাই বাছাই করে ভোট দিবেন।
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ৭ ফেব্রুয়ারি। ইউনিয়নের চাঁদপুর ও নুরুল্লাপুর গ্রাম নিয়ে ১নং ওয়ার্ড গঠিত। যেখানে চাঁদপুর গ্রামে ভোটার সংখ্যা ৯২৭জন। নুরুল্লাপুর গ্রামে ভোটার সংখ্যা ৭২৪ জন। যারা ভোট দেবেন চাঁদপুর সরকারি প্রাথীমক বিদ্যালয় কেন্দ্রে। ১ হাজার ৬৫১জন ভোটারের বিপরীতে সাধারণ সদস্য পদে (পুরুষ) প্রার্থী হয়েছেন ৪জন। যার মধ্যে চাঁদপুর গ্রামের নাজমুল হুসাইন ও মকবুল হোসেন, নুরুল্লাপুর গ্রামের বাবলু মিয়া ও মহিউদ্দিন। প্রার্থীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, জনসেবা ও সমাজসেবা করতেই প্রার্থী হয়েছেন তারা। সে মোতাবেক ভোটারদের নিকট থেকে সাড়া পাচ্ছেন। জয়ের ব্যাপারে প্রত্যেক প্রার্থীই শতভাগ আশাবাদী। দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতি। বিজয়ী হবেন তো ১ জন। তাহলে পরাজিত হবেন কারা? নামপ্রকাশ না করার শর্তে বলেন, প্রার্থীরা আসলে কাউকে না বলছি না। সবাইকেই কথা দিচ্ছি। তবে শেষ সিদ্ধান্ত নেবো প্রার্থীর অতীত ও বর্তমান আচার আচরণ বিবেচনা করে। ৫ বছরের জন্য প্রতিনিধি হবে একটু ভেবে চিন্তে সিদ্ধান্ত নেবো। ১নং ওয়ার্ডে লড়াই হবে দ্বিমুখী।
অপর দিকে গিরীশনগর, আড়িয়ার চক, ৬৩ আড়িয়া ও ৬২ আড়িয়া নিয়ে ২নং ওয়ার্ড। যেখানে গিরীশনগর গ্রামে ভোটার সংখ্যা ৭৮৬, আড়িযার চকে ৩২৩, ৬৩ আড়িয়ায় ৩০১জন এবং ৬২ আড়িয়ায় ১ হাজার ২৪১ জন। এসব ভোটাররা ভোট দেবেন আড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও গিরীশনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে। যেখানে গিরীশনগর গ্রাম থেকে ৭৮৬ ভোটারের বিপরীতে প্রার্র্থী হয়েছেন জাহাঙ্গীর আলম ও শাহা আলম। ৬২ আড়িয়া গ্রম থেকে ১ হাজার ২৪১ ভোটের বিপরীতে প্রার্থী হয়েছেন আমিরুল ইসলাম, আবু বক্কর ও সুবারেক আলী। এখানেও প্রত্যেক প্রার্থী জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। কয়েকজন ভোটারের সাথে কথা হলে তারা বলেন, অনেক মেম্বার প্রার্থী নিজের ভোটের পাশাপাশি চেয়ারম্যানের ভোটের সাথে জড়িত। চেয়ারম্যানের ঘাড়ে ভর করে নিজের বিজয়ের স্বপ্ন দেখছেন। তারা আরও বলেন, স্থানীয় ভোটের হিসাব নিকেশ আলাদা। প্রার্থীর আচরণ, আত্মীয়তা সর্বোপরি গ্রহণ যোগ্যতার ব্যাপারটা তো থাকছেই। ২নং ওয়ার্ডে লড়াই হবে দ্বিমুখী। এখন দেখার বিষয় ৭ ফেব্রুয়ারি ১নং ওয়ার্ডে ও ২নং ওয়ার্ডে বিজয়ের মালা ওঠে কার গলায়।
পূর্ববর্তী পোস্ট
পরবর্তী পোস্ট
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ