চুয়াডাঙ্গার তিতুদহে বিএনপি নেতা রফিকুল হত্যা মামলায় বাদীসহ দু’জনের ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি
স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম হত্যা মামলার বাদী নিহতের স্ত্রী নাহিদা খাতুন মুক্তি ও নিহতের ভাই গুরুতর আহত ভিকটিম শফিকুল ইসলাম ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছেন। গতকাল সোমবার বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে দর্শনা আমলী আদালতের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলামের কাছে এ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন।
গত ৮ মার্চ বেলা ১১ টার দিকে চুয়াডাঙ্গার তিতুদহে বিএনপি নেতা রফিকুল ইসলাম ও তার স্ত্রী নাহিদা খাতুন মুক্তি তিতুদহ মাঝেরপাড়া জামে মসজিদের কাছে পৌঁছানোমাত্রই মামলার আসামিরা বেআইনিভাবে জনতাবদ্ধ হয়ে দেশীয় ধারালো, অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে ভিকটিম রফিকুল ইসলামকে খুন করার উদ্দেশ্যে চারিদিক থেকে ঘিরে ১নং আসামি মিলন মিয়ার নির্দেশে অন্যান্য আসামিরা খুন করে। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী নাহিদা খাতুন মুক্তি বাদী হয়ে ৩৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ২০-২৫ জনকে আসামি করে দর্শনা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি লতিফ, বিল্লাল, আজিমউদ্দিন, মহসিন, সাগর ও হোসেনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
অপরদিকে, উচ্চ আদালত থেকে এ মামলার আসামি জানালি, শরিফুল, আনারুল, জসিম, জামাল ও সুজন ৮ সপ্তাহের আগাম জামিন লাভ করেছেন।
এ মামলার বাদী নাহিদা খাতুন মুক্তি অভিযোগ করে বলেছেন, এ মামলার আসামি ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি মিলন মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন টোটন ও অপর আসামি রফিকুল ইসলামসহ অন্য আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও পুলিশ তাদেরকে গ্রেফতার করছে না। অথচ, তারা নিজ বাড়িতে আছে ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালু রয়েছে। তাদেরকে গ্রেফতার করতে প্রশাসনের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দর্শনা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) অনুজ কুমার সরকার বলেন, তিতুদহের রফিকুল ইসলাম হত্যা মামলার বাদী ও নিহতের ভাই ভিকটিম শফিকুল ইসলামের ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি বিচারকের নিকট গ্রহণ করা হয়েছে। যেসকল আসামি পালিয়ে আছে তারা খুব শিগগিরই ধরা পড়বে আশা করছি। তাদেরকে ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত আছে।
প্রসঙ্গত: জুলাই-আগস্ট পট পরিবর্তনের পর রফিকুল ইসলাম হত্যা মামলার আসামিরা তিতুদহ ইউনিয়ন পরিষদে সরকারি সুবিধাভোগী। যেমন টিটিবি, ভিজিএফ, খাদ্যবান্ধব চালসহ বিভিন্ন সাহায্য চুরি করে বিক্রি করে। বাদীর স্বামী রফিকুল ইসলাাম (৪৮) এমন অন্যায় কাজের প্রতিবাদ করায় আসামিরা রফিকুল ইসলামকে খুন করেন।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়, কিন্তু ট্র্যাকব্যাক এবং পিংব্যাক খোলা.