চুয়াডাঙ্গার ঠাকুরপুরের ঐতিহ্যবাহী মসজিদে বার্ষিক ইছালে সওয়াব আজ

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গার ঐতিহ্যবাহী ঠাকুরপুর মসজিদে বার্ষিক ইছালে সওয়াব আজ মঙ্গলবার। প্রতি বছরে বাংলা মাসের ১২ ফাল্গুন বার্ষিক ইছালে সওয়াব ও হালকায়ে জিকিরের আয়োজন করা হয়। এ মসজিদ নিয়ে রয়েছে নানানজনের নানা কল্পকথা। তবে কেউই নিশ্চিত করে বলতে পারেনি মসজিদের মূলকাহিনী। চুয়াডাঙ্গা শহর থেকে প্রায় দু’কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ঠাকুরপুর গ্রাম। প্রতি বছরের বাংলা মাসের ১২ ফাল্গুন বার্ষিক ইছালে সওয়াব ও হালকায়ে জিকিরের তথা বার্ষিক ওরশ আয়োজন করে এলাকাবাসী। খাতা-কলমে এবার ৯৯ বছর হলেও প্রবীণ ব্যক্তিরা জানান প্রায় ৩শ বছরেরও অধিক সময় ধরে হয়ে আসছে। কালক্রমে অবশ্য নামও পরিবর্তনের সূত্রপাত ঘটেছে। স্থানটি কালক্রমে পীরগঞ্জ হিসেবেও পরিচিতি পেয়েছে। নাম পরিবর্তন অবশ্য স্থানীয়দের প্রচেষ্টারই ফসল। ঠাকুরপুরের নাম পীরগঞ্জ করার আড়ালে নিহিত রয়েছে ওই বিশাল আকৃতির গম্ভুজ মসজিদটি। ইসলামধর্ম প্রচার করার জন্য যুগে যুগে এলাকায় আলো ছড়িয়েছেন যারা, তাদেরই একজন ছিলেন আফু শাহ্। নির্দিষ্ট করে বলা না গেলেও ১৬৯৮ সালে পশ্চিমবঙ্গ থেকে মাথাভাঙ্গা, নবগঙ্গা বেয়ে তিনি যে স্থানটি পছন্দ করে নোঙর গাড়েন, মালসামিয়ানা নামিয়ে আস্তানা গড়ে তোলেন, সেই স্থানটির নাম তখন ছিলো ঠাকুরপুর, এখন পীরগঞ্জ। এখানেই রয়েছে বড় গম্ভুজের মসজিদ। হযরত আফু শাহ ছিলেন সাধক পুরুষ। গুণীজন। তাকে নিয়ে বহু কিংবদন্তী রয়েছে। কথিত রয়েছে তারই বিশেষ গুণে মসজিদটি এক রাতেই নির্মিত হয়। এ মসজিদের মূল কাঠামো অক্ষুণœ রেখেই পরবর্তীতে সংস্কার করা হয়েছে। সম্প্রসারণের পাশাপাশি আধুনিকায়নেরও ছোঁয়া লেগেছে বিভিন্ন সময় দায়িত্বে থাকা কমিটির নেতৃবৃন্দের বিশেষ উদ্যোগে। প্রধান ফটকটি টাইলস দিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে যেমন, তেমনই মসজিদের অভ্যন্তর অংশেও লাগানো হয়েছে টাইলস তৈরি করা হয়েছে ২য় তলা পর্যন্ত। এই মসজিদে বা ইছালে সওয়াব এসে যদি কেই নিয্যাত করে মনের আশা পুরণ বলে এমন নজিরও রয়েছে। এ মসজিদেই প্রতিবছর ইছালে সওয়াব হালকায়ে জিকিরের আয়োজন করা হয়। আয়োজকরা জানান, এবার ইছালে সওয়াব হালকায়ে জিকিরের প্রধান অতিথি থাকবেন চুয়অডাঙ্গা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শরীফুজ্জামান শরীফ, প্রধান বক্তা হিসেবে থাকছেন হযরত মাওলানা মুফতি আল আমিন সাইফী। বিশেষ আলোচক থাকবেন হযরত মাও. মুফতি মুকিত, হযরত মাও. মুফতি আব্দুর রশিদ। সভাপতিত্ব করবেন চুয়াডাঙ্গা পৌর বিএনপির সভাপতি সিরাজুল ইসলাম মনি।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়, কিন্তু ট্র্যাকব্যাক এবং পিংব্যাক খোলা.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More