চুয়াডাঙ্গার চার পৌরসভার নির্বাচনে প্রার্থীদের তোড়জোড় : ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাওয়া শুরু করেছেন প্রার্থীরা
স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গার চার পৌরসভার মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে। মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই শুরু হয়েছে নির্বাচনের তোড়জোঢ়। ১ লাখ ৪৪ হাজার ২৩ জন ভোটারের ভোটে আবারও নির্বাচিত হবেন চার পৌরসভার মেয়র, সংরক্ষিত ও সাধারণ কাউন্সিলরবৃন্দ। ইতোমধ্যে নির্বাচনের প্রার্থীরা বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের সাথে মতবিনিময়সভা ও গণসংযোগ কার্যক্রম শুরু করেছে। ঘুরছে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। দিচ্ছেন উন্নয়নের নানা প্রতিশ্রুতি। আগামী ডিসেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে নির্বাচন হতে পারে এমনটি ধারণা করে নির্বাচন কমিশনের কার্যক্রম এগিয়ে চলছে।
চার পৌরসভায় মোট ভোটারের সংখ্যা ১ লাখ ৪৪ হাজার ২৩জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ৭০ হাজার ১৯৯ জন এবং নারী ভোটারের সংখ্যা ৭৩ হাজার ৮২৪ জন। চার পৌরসভায় পুরুষের চেয়ে নারী ভোটারের সংখ্যা ৩ হাজার ৬২৫ জন বেশি।
চুয়াডাঙ্গা ‘ক’ শ্রেণির পৌরসভার মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি। এ পৌরসভায় ৩১টি ভোটকেন্দ্রে মোট ভোটার সংখ্যা ৬৮ হাজার ৮৭৬ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ৩৩ হাজার ৪৫৬ জন এবং নারী ভোটার ৩৫ হাজার ৫২০ জন। এ পৌরসভায় পুরুষের চেয়ে নারী ভোটারের সংখ্যা ১ হাজার ৯৬৪ জন বেশি।
আলমডাঙ্গা ‘ক’ শ্রেণির পৌরসভায় আগামী বছরের ১ মার্চ মেয়াদ শেষ হচ্ছে। এ পৌরসভায় ১৫টি ভোটকেন্দ্রে মোট ভোটারের সংখ্যা ২৬ হাজার ৩১২ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ১২ হাজার ৭৫৪ জন এবং নারী ভোটারের সংখ্যা ১৩ হাজার ৫৫৮ জন। এ পৌরসভায় পুরুষের চেয়ে নারী ভোটারের সংখ্যা ৮০৪ জন বেশি।
দর্শনা ‘খ’ শ্রেণির পৌরসভা আগামী বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি মেয়াদ শেষ হচ্ছে। এ পৌরসভায় ১৬টি ভোটকেন্দ্রে মোট ভোটারের সংখ্যা ২৮ হাজার ৬৮ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ১৩ হাজার ৮৬০ জন এবং নারী ভোটার ১৪ হাজার ২০৭ জন। এ পৌরসভায় পুরুষের চেয়ে নারী ভোটারের সংখ্যা ৩৮৪ জন বেশি।
জীবননগর ‘খ’ শ্রেণির পৌরসভার মেয়দ শেষ হচ্ছে আগামী বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি। এ পৌরসভায় ১০টি ভোটকেন্দ্রে মোট ভোটারের সংখ্যা ২০ হাজার ৭৬৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটরের সংখ্যা ১০ হাজার ১২৯ জন এবং নারী ভোটারের সংখ্যা ১০ হাজার ৬৩৮ জন। এ পৌরসভায় পুরুষের চেয়ে নারী ভোটরের সংখ্যা ৫০৯ জন বেশি।
চুয়াডাঙ্গা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা তারেক আহম্মেদ বলেন, চার পৌরসভার সাধারণ নির্বাচন সংক্রান্ত হালনাগাদ তথ্য নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব এবং সংশ্লিষ্ট দফতরসমূহে সম্প্রতি পাঠানো হয়েছে। নির্বাচনের তফশিল ঘোষণা হলে পৌরসভার ভোটের অন্যান্য কার্যক্রম শুরু হবে।