ভালাইপুর প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গা সদরের আকুন্দবাড়ীয়া গ্রামে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে মিথ্যা মামলা দিয়ে নিরীহ লোকদের হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে। গ্রামের শতাধিক লোকজনসহ মাতবররা মীমাংসার চেষ্টা করলেও সালিশে হাজির হয়নি শহিদুল মোল্লা ও তার পরিবারের লোকজন।
জানা গেছে চুয়াডাঙ্গা সদরের আলুকদিয়া ইউনিয়নের ভালাইপুর মোড় সংলগ্নে ভালাইপুর আসমানখালী সড়কের ধারে ২ দাগে এক বিঘা জমি মৃত আবুবকর মোল্লার ৪ ছেলে ৩ মেয়ে ও স্ত্রীর নামে সমবন্ঠন হওয়ার কথা থাকলেও মৃত আবুবকর মোল্লার মেজ ছেলে শহিদুল মোল্লা তার ভাই, বোন ও মায়ের অংশ বুঝে না দিয়ে সমস্থ জমি দখল করে মিথ্যা মামলা দিয়ে বিভিন্নভাবে হয়রানি করছেন বলে লিখিত অভিযোগ করেছেন। মৃত আবুবকর মোল্লার ছেলে জুড়োন মোল্লা, আসাদ মোল্লা, বিপ্লব মোল্লা ও জোসনা খাতুন লিখিত অভিযোগ করে বলেন, ভালাইপুর মোড় সংলগ্নে ভালাইপুর আসমানখালী সড়কের ধারে জমিটির শরিক আমাদের মা সহিদা বেগমসহ ৭ ভাই বোন সবাই। ঐ জমির পজিশন শহিদুল মোল্লা একাই দখল করে বিভিন্ন অবকাঠামো তৈরি করছেন। জমিটির শরিক আমাদের মা সহিদা বেগমসহ ৭ ভাই বোন পজিশন চাইলে আমার ভাই শহিদুল মোল্লা ও তার ছেলে পুলিশ কনস্টেবল সোহেল হোসেন ও সোহাগ হোসেন হত্যার হুমকি দেয়াসহ মিথ্যা মামলা দিয়ে বিভিন্নভাবে হয়রানি করছেন বলে অভিযোগ করেন। আকুন্দবাড়ী গ্রামের মসলেম মন্ডল, আজিজুল হক মন্ডল, সাবেক মেম্বার মামুন হোসেন ও আলাউদ্দিন বলেন, জমির পজিশন নিয়ে ভাই-বোনদেরতো হয়রানি করছেন আবার মিথ্যা চাঁদাবাজি মামলা দিয়ে হওয়ানি করানো এটা মেনে নেয়া যায় না। তাই আমরা নিরপেক্ষভাবে গ্রামের শতাধিক লোকজনসহ মাতবররা মীমাংসার চেষ্টা করতে চাইলে সালিশে হাজির হয়নি শহিদুল মোল্লা ও তার পরিবারের লোকজন। গ্রামবাসী আরও অভিযোগ করে বলেন, শহিদুল মোল্লার ছেলে পুলিশ কনস্টেবল সোহেল হোসেন ও সোহাগ হোসেন তার চাচা ও ফুফুদের প্রশাসন ও সন্ত্রাসীদের হুমকি দিয়ে বাড়িছাড়া করে রেখেছেন। এদিকে শহিদুল মোল্লার ছেলে সাইদুর রহমান সোহাগ আদালতে যে চাঁদাবাজি মামলা করে হয়রানি করছেন সেই মামলার সাক্ষী একই গ্রামের শাহাজাহান এর ছেলে শিপন মোল্লা ও মিয়াজান মোল্লার ছেলে রতন মোল্লা বলেন, আমরা কিছুই শুনলাম না বা জানলামনা দেখছি জুড়োন মোল্লা, আসাদ মোল্লা, বিপ্লব মোল্লার নামে চাঁদাবাজি মামলা দেয়া হয়েছে। সেখানে আমাদের সাক্ষী করা হয়েছে। এ ধরনের হয়রানি করা ঠিক না, যা মিথ্যা ও বানোয়াট। এ বিষয়ে শহিদুল মোল্লার ছেলে সাইদুর রহমান সোহাগের সাথে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি বলেন, এটা আমাদের পারিবারিক ব্যাপার, শরিকানা জমি নিয়ে ঝামেলা হলে তারা আমাদের মারধোর করেন এবং টাকা ছিনিয়ে নেন। সেই বিষয়ে আদালতে মামলা চলমান আছে। আমাদের পরিবার আইনের প্রতিশ্রদ্ধাশীল তাই আদালতের সরণাপন্ন হয়েছি।
পূর্ববর্তী পোস্ট
চুয়াডাঙ্গায় ছাত্রদলের মার্চ ফর জাস্টিস কর্মসূচি ও স্মারকলিপি পেশ
পরবর্তী পোস্ট
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়, কিন্তু ট্র্যাকব্যাক এবং পিংব্যাক খোলা.