চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়ায় রোগীকে করানো হলো এক্স-রে
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের স্বেচ্ছাসেবক সেই জুয়েলের প্রতারণা
স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল এলাকার চিহ্নিত প্রতারক বর্তমানে আস্থা প্রকল্পের স্বেচ্ছাসেবক জুয়েলের বিরুদ্ধে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়ায় রোগীকে নিয়ে এক্স-রে করানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল রোববার সকাল ১১টার দিকে আকিক ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে সদর থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীন ঘটনাস্থলে পৌঁছে ভুক্তভোগী এক্স-রে করানোর টাকা ফেরত দেয়ার ব্যবস্থা করেন। এ ঘটনার পরই সুযোগ বুঝে জুয়েল পালিয়ে যায়। জুয়েল রানা সদর উপজেলার বেলগাছি মুসলিমপাড়ার আশু স্বর্ণকারের ছেলে এবং চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আস্থা প্রকল্পে স্বেচ্ছাসেবক। বর্তমানে জরুরি বিভাগের সামনে নিরাপত্তা কর্মী হিসেবে কর্মরত। গতকাল সকালেও তাকে নিরাপত্তাকর্মীর পোশাকে ডিউটি পালন করতে দেখা গেছে। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে জুয়েলকে সদর হাসপাতাল থেকে বিতাড়িত করা হয়েছে। সে এখন আর হাসপাতালের সাথে সংশ্লিষ্ট নয়।
অভিযোগসূত্রে জানা যায়, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার নেহালপুর গ্রামের দক্ষিণপাড়ার খাদিজা খাতুন তার ছেলে আশরাফুলকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে। বহির্বিভাগে টিকিট কেটে চিকিৎসকের রুমের (২১২নং) সামনে যেতেই জুয়েল আশরাফুলকে এক্স-রে করার পরামর্শ দেয়। পরে সে নিয়েই হাসপাতালের মূল ফটকের সামনে আকিক ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়ে যায়।
অপরদিকে আকিক ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়াই এক্স-রে করে দেয় এবং ৪০০ টাকা দাবি করে। এ নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হলে জুয়েল পালিয়ে যায়। পরে খবর পেয়ে সদর থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীন ঘটনাস্থলে আসেন এবং আকিক ডায়াগনস্টিককে সতর্ক করেন। এ সময় এক্স-রে বাবদ নেয়া টাকা ফেরত দেয়া হয়।
এর আগে গত বছরের (১ নভেম্বর) কুষ্টিয়া দুদকের একটি দল সদর হাসপাতাল থেকে অবৈধভাবে সরকারি ওষুধ নেয়ার অভিযোগে জুয়েল রানাকে আটক করে। পরে তাকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে এক মাসের কারাদ- দেয়া হয়।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আতাউর রহমান বলেন, জুয়েলকে হাসপাতাল থেকে বিতাড়িত করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ ছিল। গতকাল যে ঘটনা ঘটেছে এটা আমার জানা নেই। তাকে সদর হাসপাতালে চত্বরে দেখলে আটক করে প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করা হবে।