স্টাফ রিপোর্টার: সড়ক দিন দিন মৃত্যুপুরি থেকে রাক্ষসপুরিতে রূপ নিয়েছে। রাস্তায় বের হয়ে সুহালে বাড়ি ফেরার ন্যূনতম নিশ্চয়তা নেই। প্রায় প্রতিদিনই সড়কে ঝরছে রক্ত। বাড়ছে মৃত্যু। চলতি বছরের ৬৮ দিনে পৃথক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন চুয়াডাঙ্গা ২৪ জন। আর কতজনের প্রাণ ঝরলে সড়ক হবে নিরাপদ তা বলতে পারেন না কেউ।
চলতি বছরে চুয়াডাঙ্গা সড়ক দুর্ঘটনায় প্রথম মৃত্যু হয়ে ৫ জানুয়ারি। এদিন দামুড়হুদায় পৃথক দুর্ঘটনায় শিশু আলিফ হোসেন ও আব্দুল হাকিম নিহত হন। ৭ জানুয়ারি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় জীবননগরের যুবক সম্রাটকে ঝরে যেতে হয়। ১০ জানুয়ারি চুয়াডাঙ্গা সদর ও দর্শনায় দুর্ঘটনায় মারা যান জহর আলী ও নজির আহমেদ। ১৪ জানুয়ারি স্বামীর মোটরসাইকেল থেকে পড়ে স্ত্রী উম্মে সালমার মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। ১৭ জানুয়ারি জীবননগরের উথলীতে ট্রেনের ধাক্কায় বৃদ্ধা রোমেনা খাতুন মারা যান। ১৯ জানুয়ারি চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুর সড়কের হাতিটাকায় স্বামী আব্দুল্লাহ আল মামুন ও স্ত্রী হাফিজা কাতুন লিভা নিহত হন। চুয়াডাঙ্গা ভিমরুল্লা নামকস্থানে দুর্ঘটনা ঘটে ২৩ জানুয়ারি। নিহত হন সাহাদত হোসেন। ৩১ জানুয়ারি জীবননগরে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান ঈশা। ৫ ফেব্রুয়ারি আলমডাঙ্গার মাধবপুরে অবৈধযান লাটাহাম্বরের ধাক্কায় শিশু খাদিজা খাতুন মারা যান। ৮ ফেব্রুয়ারি জীবননগর থেকে মোটরসাইকের যোগে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়ে দুর্ঘটনায় নিহত হন তৌফিক আহমেদ শুভ। ১১ ফেব্রুয়ারি দর্শনা রেলইয়াডে আনাড়ি চালকের কারণে দুর্ঘটনার শিকার হয়ে নিহত হন ইয়ার্ড শ্রমিক সাজু। ১২ ফেব্রুয়ারি সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন নেহালপুরের শারমিন আক্তার রেশমা। চুয়াডাঙ্গার সন্তান ডা. ইমরানের প্রাণ ঝরে সিলেটের রাস্তায়। তিনি দুর্ঘটনার শিকার হন ২০ ফেব্রুয়ারি। ২৮ ফেব্রুয়ারি ট্রলির চাকায় পিষ্ট হয়ে প্রাণ হারান চুয়াডাঙ্গা বেগমপুরের শিশু রিজভী। ১ মার্চ দামুড়হুদার কুড়–লগাছিতে আলমসাধু উল্টে নিহত হন মনিরুল ইসলাম। পরদিন ২ মার্চ চুয়াডাঙ্গা কুশোডাঙ্গায় ইজিবাইকের ধাক্কায় প্রাণ হারায় শিশু রবিন আহমেদ। ৪ মার্চ মুন্সিগঞ্জ পশুহাটে ট্রাক্টর চালক রশিদুল ইসলাম ও দর্শনা ডিলাক্স পরিবহনের ধাক্কায় বৃদ্ধ ইয়াকুব আলী নিহত হন। ৫ মার্চ দামুড়হুদা জয়রামপুরে নিহত হয় শিশু আকিব হোসেন। সাইকেল নিয়ে ট্রেনের সাথে পাল্লা দিতে দুর্ঘটনার শিকার হয় সে। একই দিন ট্রাকের চাপায় প্রাণ হারান আলমডাঙ্গার ফিরোজ হোসেন। ৯ মার্চ দামুড়হুদা মুক্তারপুরের সোহেল রানা নিহত হয়েছে। সে মানসিক প্রতিবন্ধী ছিলো বলে জানা গেছে। ট্রাকের নিচে ঝাপিয়ে পড়ে নিহত হয় বলে স্থানীয়রা জানান। যেসব কারণে সড়ক দুর্ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে। তা শনাক্ত করে প্রতিকারের বিশেষ উদ্যোগের বড়ই অভাব। ফলে সড়কে সাবধান!
পূর্ববর্তী পোস্ট
পরবর্তী পোস্ট
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ