গাংনী প্রতিনিধি: গাংনী উপজেলা স্যানেটারি ইন্সপেক্টর মশিউর রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়মতান্ত্রিক কার্যকলাপের অভিযোগ উঠেছে। বিভিন্ন দোকানে কর্মচারীদের স্বাস্থ্য সনদ দেয়ার নামে টাকা আদায় ছাড়াও হোটেল রেস্তোরা থেকে অনৈতিক সুবিধা নিচ্ছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। স্বাস্থ্যসনদ দেয়ার ব্যাপারে টাকা নেয়ার কথা স্বীকার করেছেন স্যানেটারি ইন্সপেক্টর মশিউর। কর্তৃপক্ষ বলছে, বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
হেমায়েতপুর বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন জানান, ২০১৯ সালে বাজারের মুদি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে শিশুখাদ্য বিপণন ও স্বাস্থ্যসনদ দেয়ার নাম করে ১৩ ব্যবসায়ীর কাছ থেকে টাকা নেন স্যানেটারি ইন্সপেক্টর মশিউর। অদ্যাবদি কোনো সনদপত্র প্রদান করেননি। বছর বছর নবায়নের জন্যও টাকা নেন।
একই অবস্থা বামন্দী বাজারে। কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, ৬৫ ব্যবসায়ীর কাছ থেকে স্বাস্থ্য সনদ দেয়ার নামে টাকা উত্তোলন করেছেন। অথচ কোনো কাগজপত্র প্রদান করেননি। তিনি হোটেল রেস্তোরাতে গিয়ে নানা ধরনের হুমকি ধামকি দিয়ে থাকেন।
গাংনীর বিভিন্ন হোটেল রেস্তোরা মালিকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, স্যানেটারি ইন্সপেক্টর মশিউর গেলো দু বছরে কারও স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য বলেননি। আবার কোনো স্বাস্থ্য সনদ দেননি। স্যানেটারি ইন্সপেক্টর হাটবাজারে প্রকাশ্যে যৌন উত্তেজন ওষুধ ও নানা ধরনের জীবন রক্ষাকারী ওষুধসহ ভেজাল খাদ্যদ্রব্য বিক্রি হলেও সেদিকে খেয়াল করেন না।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, হোটেল রেস্তোরাতে কর্মরত সকলকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য স্যানেটারি ইন্সপেক্টর চিঠি দেবেন এবং সে অনুযায়ী সিভিল সার্জন অফিস থেকে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে ফিটনেস সনদ দেয়া হবে। কারও কাছ থেকে টাকা নিয়ে স্বাস্থ্যসনদ দেয়ার নিয়ম নেই।
এ ব্যাপারে গাংনী উপজেলা স্যানেটারি ইন্সপেক্টর মশিউর রহমান জানান, তিনি সনদ দেয়ার নামে টাকা নিয়েছেন কিন্তু সনদ দেয়া হয়নি। তবে হোটেল রেস্তোরা থেকে কোনো অনৈতিক সুবিধা নেননি বলে দাবি করেন।
এ ব্যাপারে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার হামিদুল ইসলাম জানান, বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
পূর্ববর্তী পোস্ট
করোনা থেকে মানুষকে বাঁচাতে আরো কঠোর পদক্ষেপ নেবো: প্রধানমন্ত্রী
পরবর্তী পোস্ট
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ