গাংনী প্রতিনিধি: মেহেরপুর গাংনীর ভ্যানচালক আতিয়ার রহমান হত্যাকা-ের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। তার স্ত্রী বাদী হয়ে গতকাল গাংনী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এদিকে হত্যাকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে গতকাল সোমবার মানববন্ধন করেছেন গ্রামবাসী। গতকাল বেলা ১১টায় উপজেলার দেবীপুর বাজারে এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। নিহত আতিয়ার রহমান উপজেলার করমদি মাঠপাড়া গ্রামের মো. রহিদুল ইসলামের ছেলে। মানববন্ধনে নিহতের বড় ভাই ইয়ারুল ইসলাম বলেন, আমার ভাই অত্যন্ত ভালো মানুষ ছিলো। কি কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে, আর খুনিদের এখন পর্যন্ত কেন গ্রেফতার করা হয়নি? তাই প্রশাসনকে অনুরোধ করছি খুনিদের অতি দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার জন্য। প্রতিবেশী শফিকুল ইসলাম বলেন, প্রশাসনকে দ্রুত অ্যাকশনে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছি। খুনিরা এখনো কেন গ্রেফতার হয়নি। প্রশাসনকে দ্রুত এর পদক্ষেপ নিতে হবে। মো. মোতালেব হোসেন বলেন, আতিয়ার রহমান অত্যন্ত ভদ্র ও ভালো মানুষ ছিল। তাকে এভাবে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে এটা কখনোই মেনে নেয়া যায় না। তাই প্রশাসনকে দ্রুত কার্যকরী ভূমিকা পালন করার জন্য অনুরোধ করছি। গাংনী উপজেলার তেঁতুলবাড়ী ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম বলেন, দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলও এখনো খুনিদের আইনের আওতা আনতে পারেনি প্রশাসন। তাহলে কি পুলিশ প্রশাসন মুখ থুবড়ে পড়ে গেছে। তাই অতি দ্রুত খুনিদের আইনের আওতায় আনতে হবে তা না হলে এর চেয়ে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বাণী ইসরাইল জানান, হত্যাকারীদের আটকে অভিযান অব্যাহত আছে। আশা করছি দ্রুত গ্রেফতার হবে। গাংনী থানার ওসি জানান, পুলিশের একটি দল মামলাটি তদন্তে কাজ করছেন। হত্যাকা-ের নেপথ্যের রহস্য এবং হত্যকারীদের গ্রেফতারের জোর প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। নিহতের স্ত্রীর দায়েরকৃত মামলার সব আসামিই অজ্ঞাত। প্রসঙ্গত, শনিবার ভ্যান নিয়ে বাড়ি থেক বরে হয় করমদি গ্রামরে আতয়িার রহমান। রোববার দুপুরে গাংনী উপজলোর বাদয়িাপাড়া-ছাতিয়ান সড়কের পাশে তার মরদহে উদ্ধার করা হয়। মাথায় গুরুতর আঘাতের মাধ্যমে তাকে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।
পূর্ববর্তী পোস্ট
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়, কিন্তু ট্র্যাকব্যাক এবং পিংব্যাক খোলা.