স্টাফ রিপোর্টার: মেহেরপুরে গাংনী পৌর যুবদলের ১নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি আলমগীর হোসেনকে হত্যার অভিযোগে গ্রেফতার দুই যুবদল নেতাকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গতকাল শনিবার গাংনী পৌর যুবদলের আহ্বায়ক সাইদুল ইসলাম ও সদস্য সচিব এনামুল হক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই বহিষ্কারাদেশ দেন। বহিষ্কৃত নেতারা হলেন- গাংনী পৌর যুবদলের ৩নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম বিপ্লব ও ১নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সাবেক সভাপতি মফিকুল ইসলাম। বহিষ্কারাদেশে বলা হয়েছে, আলমগীর হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে পৌর যুবদলের নির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক রবিউল ইসলাম বিপ্লবকে ৪নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সাধারণ সম্পাদকের পদসহ দলীয় সব পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হলো। এর আগে, এই হত্যাকান্ডে সরাসরি জড়িত থাকার অভিযোগে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রবিউল ইসলাম বিপ্লব, ১নম্বর ওয়ার্ড (বাঁশবাড়িয়া) যুবদলের সাবেক সভাপতি মফিকুল ইসলাম ও কোদাইলকাটি গ্রামের আলমগীর হোসেনকে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-১২) সিপিসি-৩, মেহেরপুর ক্যাম্পের একটি দল গ্রেফতার করে। গত শুক্রবার আদালতে নিলে তাকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। গত ২ জানুয়ারি দিবাগত রাতে গাংনী উপজেলার বাঁশবাড়িয়া গ্রামের উত্তরপাড়া এলাকার মঈন উদ্দীনের ছেলে আলমগীর হোসেনকে গলাকেটে হত্যা করে সহড়াবাড়িয়া ইছাখালি মাঠের একটি গাছের নিচে ফেলে রাখা হয়। নিহত আলমগীর হোসেনের কাছে একই গ্রামের মো. মফিকুল ইসলামের ২ লাখ টাকা পাওনা ছিলো। প্রায় ৪ বছর আগে আলমগীর ঘাতক মফিকুলের কাছ থেকে এই টাকা ধার নেন। এরপর দেড় বছর আগে তিনি সংযুক্ত আরব আমিরাতে (দুবাই) চলে যান। প্রায় ২মাস আগে আলমগীর দেশে ফেরত এলে পাওনা টাকার প্রতিশোধ নিতেই মফিকুল তার বন্ধু যুবদল নেতা রবিউল ইসলাম বিপ্লব ও কোদাইলকাটি গ্রামের আলমগীর হোসেনসহ কয়েকজন মিলে তাকে টাকা ধার দেয়ার নাম করে সহড়বাড়িয়া-কামারখালী মাঠে নিয়ে কুপিয়ে ও জবাই করে হত্যা করেন। এ ঘটনায় নিহতের পিতা মইন উদ্দীন বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা করেন।
পূর্ববর্তী পোস্ট
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়, কিন্তু ট্র্যাকব্যাক এবং পিংব্যাক খোলা.