গাংনী প্রতিনিধি: বৃষ্টির জন্য হাহাকার চলছে মেহেরপুরের গাংনীতে। ক্ষেত খামারে পানি নেই। প্রাণিকূলের জীবন ওষ্ঠাগত। কাক্সিক্ষত বৃষ্টির জন্য কোথাও কোথাও অনুষ্ঠিত হচ্ছে নামাজ আবার কোথাও গীত গেয়ে চলছে বৃষ্টির প্রার্থণা। গেলো দুদিন এসব অনুষ্ঠান চললেও বৃষ্টির দেখা মেলেনি। তবে আবহাওয়া অফিস বলছে কয়েকদিনের মধ্যেই বৃষ্টি হতে পারে। গেলো ১০দিন ধরে চলছে গরম ও প্রখর রোদ্র। এতে জনজিবন বিপন্ন হয়ে পড়েছে। গেলো এক মাসেও কোনো বৃষ্টির দেখা মেলেনি। বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ শেষে আল্লাহর কাছে বৃষ্টি চেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়ছেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। তাছাড়াও সেই সনাতন পদ্ধতিতে চলছে গীত গেয়ে চলছে বৃষ্টির জন্য আরাধনা। কোথাও কোথাও ব্যাঙের বিয়ে হচ্ছে। তারপরও মেলেনি কাক্সিক্ষত বৃষ্টি। গতকাল মঙ্গলবার সকালে গাংনীর কাজীপুরে এলাকার লোকজন নামাজ আদায় করে প্রার্থণা করেন। কাজীপুর ডামোস বিলে কয়েক হাজার মুসল্লি জমায়েত হয়। সেখানে বৃষ্টির জন্য বয়ান শেষে নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। ইমামতি করেন কাজীপুর দারুল উলুম দাখিল মাদরাসার সুপার আব্দুর রশিদ আকতার। অপরদিকে সোমবার উপজেলার মোমিনপুরে বৃষ্টির জন্য গীত গাওয়া হয়। নারী-পুরুষ মিলে এ গীত গেয়ে পানিতে নেমে প্রার্থণা করেন। আর গীতের আয়োজন করেন চরগোয়ালগ্রাম ও মোমিনপুর গ্রামবাসীরা। অপরদিকে শিমুলতলা দাসপাড়ায় বৃষ্টির জন্য ব্যাঙের বিয়ের আয়োজন করেন সনাতন ধর্মের লোকজন। নীলমন দাসের উদ্যোগে দাস সম্প্রদায়ের লোকজন সোমবার দুপুরে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। বিয়ের অনুষ্ঠান শেষে ব্যাঙ দম্পতিকে স্থানীয় মাথাভাঙ্গা নদীতে ছেড়ে দেয়া হয়। এদিকে চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক আলতাফ হোসেন জানিয়েছেন, আগামী ১০ তারিখের আগে কোনো বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।