গাংনীতে পুলিশ কনস্টেবলের রহস্যজনক মৃত্যু

মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয়ে শাহেদের মরদেহ ময়নাতদন্ত

গাংনী প্রতিনিধি: মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার এলাঙ্গী পুলিশ ক্যাম্পে কর্মরত শাহেদ (২৬) নামের এক কনস্টেবলের রহস্যজনক মৃত্যু ঘটেছে। গতকাল রোববার সকাল ৯টার দিকে গাংনী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয়ে শাহেদের মরদেহ ময়নাতদন্ত করিয়েছে পুলিশ। শাহেদ কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার আদাবাড়িয়া গ্রামের বজলুর রহমানের ছেলে।

এলাঙ্গী পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ সুফল জানান, গতকাল সকাল ৬টা থেকে ৮টা পর্যন্ত সেন্ট্রি ডিউটি ছিল শাহেদের। ডিউটি শেষে পরের সেন্ট্রিকে ডিউটি না বুঝিয়ে দিয়ে তিনি ক্যাম্পের ভেতরে তার বিছানায় শুয়ে পড়েন। রুমের সহকর্মীরা তার নাক মুখ দিয়ে বিজলী ও ফেনা দেখতে পেয়ে তড়িঘড়ি করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জামিরুল ইসলাম তাকে মৃত ঘোষণা করেন। সংবাদ পেয়ে গাংনী থানার ওসি ও মেহেরপুর পুলিশ সুপার রাফিউল আলম শাহেদের মরদেহ দেখতে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসেন ও মৃত্যু রহস্য উম্মোচনের জন্য মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।

জানা গেছে, শাহেদ খুলনা রেঞ্জ রিজার্ভ ফোর্স হিসেবে কর্মরত। তিনি গেল ঈদের দুই দিন আগে থেকে পোস্টিং হয়ে এলাঙ্গি ক্যাম্পে আসেন। বছর তিনেক আগে তিনি বিয়ে করেন। তবে দাম্পত্য জীবনে কোন সন্তান-সন্ততি নেই।

মৃত্যুর প্রাথমিক কারণ হিসেবে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মারুফ হোসেন জানান, ব্রেন স্ট্রোক কিংবা আঘাতজনিত কারণে মস্তিকে যদি রক্তক্ষরণ হয় তাহলে মুখ দিয়ে ফেনা আসতে পারে। তবে বিষক্রিয়ার তার মৃত্যু হতে পারে। কারণ তার মুখ, পোষাক ও যে বালিশে শুইয়ে হাসপাতালে আনা হয় তাতেও একপ্রকার গন্ধ পাওয়া গেছে। যা সুরতহাল রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে ময়নাতদন্তের ভিসেরা রিপোর্ট পাওয়া গেলেই বিষক্রিয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে।

গাংনী থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক জানান, শাহেদের মরদেহের ময়নাতদন্তের পর মেহেরপুর পুলিশ লাইনসে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে পুলিশ সুপারসহ পুলিশ সদস্যরা জানাজায় অংশগ্রহণ করেন। পরে পুলিশ হেফাজতে তার মরদেহ গ্রামের বাড়িতে পাঠানো হয়।

মেহেরপুর পুলিশ সুপার রাফিউল আলম জানিয়েছেন, তার মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয় করতে ময়নাতদন্ত করানো হয়েছে। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে তদন্ত অব্যহত রয়েছে। পুলিশের তদন্ত ও ডাক্তারদের ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পরেই মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More