গাংনী প্রতিনিধি: গাংনীতে তুচ্ছ ঘটনায় ছোট ভাইয়ের লাঠির আঘাতে আহত বড় ভাই খলিলুর রহমানের (৫৫) মৃত্যু হয়েছে। লেবু গাছের ডাল কাটার তুচ্ছ কেন্দ্র করে শনিবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। গতকাল সোমবার সকালে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তবে তার মৃত্যু হতে পারে এমন আঘাত নেই বলে জানিয়েছে পরিবার। পেটের অসুখের কারণে তার মৃত্যু হতে পারে বলে ধারণা করছেন চিকিৎসক ও পুলিশের তদন্ত দল। তাই মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয়ে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পর্যন্ত অপেক্ষার কথা জানালেন গাংনী থানার ওসি। খলিলুর রহমান মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার হিন্দা গ্রামের মৃত মুনসুর আলীর ছেলে।
নিহত খলিলের মেয়ে পারভিনা খাতুন জানান, শনিবার বাড়ির পাশে লেবু গাছের ডাল কাটা নিয়ে ছোট ভাই হবিবুর রহমানের সাথে খলিলুর রহমানের বাকবিত-া শুরু হয়। একপর্যায়ে ছোটভাই হবিবর তার হাতে থাকা লাঠি দিয়ে কয়েকটি আঘাত করে। এতে আহত হয় বড় ভাই খলিলুর রহমান। বাড়ির লোকজন ও স্থানীয়রা তাকে প্রথমে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসার পর সুস্থ হলে তাকে বাড়িতে নেয়া হয়।
এদিকে রোববার রাতে খলিলুর রহমান পেটের ব্যথায় আবারও অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাকে নিয়ে যাওয়া হয় গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। তবে প্রয়োজনীয় চিকিৎসার জন্য তাকে গাংনী থেকে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে রেফার করেন চিকিৎসকরা। সেখানে তার মৃত্যু হয়।
এদিকে খবর পেয়ে গাংনী থানা পুলিশের একটি দল তার বাড়িতে যায়। সেখানে মরদেহ সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করে পুলিশ। কনুই ও পিঠে আঘাতের হালকা আঘাত ছিলো বলে জানায় পরিবার। মৃত্যু হতে পারে শরীরে এমন কোনো আঘাত পাওয়া যায়নি বলে নিশ্চিত করে পুলিশ। তাহলে খলিলের মৃত্যুর কারণ কি?
পুলিশর পক্ষ থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ দাফন করা হয়।
জানা গেছে, মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে মূলত খলিলুরকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে একিউড এড ডোমিন। অর্থাৎ তলপেটের রোগ। এ বিষয়টি সামনে আসার পরেই মৃত্যুর কারণ আঘাতে নয় বলে ধারণা আসতে থাকে পরিবারের লোকজনের। তবে যেহেতু মারধরের ঘটনা ছিলো তাই প্রাথমিকভাবে আঘাতের কারণে মৃত্যু বলে অনেকে ধারণা পোষণ করে।
গাংনী থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক জানান, মৃত্যু হতে পারে এমন কোনো দৃশ্যমান আঘাতের চিহ্ন সুরতহাল রিপোর্টে পাওয়া যায়নি। তার মৃত্যু কিভাবে হয়েছে তা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলেই পরিস্কার হবে। তবে পরিবার যদি মামলা দেয় তাহলে নেয়া হবে। পুলিশের তদন্ত ও ডাক্তারী পরীক্ষার রিপোর্ট থেকে পরবর্তী আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত পরিবার থেকে কোনো মামলা করেনি বলেও জানান তিনি।