গাংনী প্রতিনিধি: অবলা ছাগল কি জানতো ঘাস খাওয়া কেন্দ্র করে মানুষে মানুষের সংঘর্ষ হবে? নিশ্চয়ই না। তবে ঘটনা তা-ই ঘটেছে। ছাগলে ঘাস খাওয়াকে কেন্দ্র কেন্দ্র করে এক সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ৫জন আহত হয়েছেন। তুচ্ছ ঘটনা কেন্দ্র করে রক্তাক্ত সংঘর্ষের ঘটনার ধিক্কার জানতে গাংনী হাসপাতালে উপস্থিত উৎসুক মানুষের মধ্যে কয়েকজন ছাগল আর মানুষের পার্থক্যের বিষয়টির নিয়ে এমনই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। আহতদের গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবারস মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার মাইলমারী গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে। আহতরা হচ্ছেন- গ্রামের ছৈরদ্দীনের ছেলে মিনারুল (৬৩), সাইফুল (৫৫), নাজমুল (৪৫) ও ইনারুরুল (৫০) এবং আলফাজ উদ্দীনের ছেলে আব্বাছ উদ্দীন (২৮)। আহতদের মধ্যে ইনারুলের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
আহত আব্বাছ উদ্দীনের পরিবারের দাবি, মিনারুলের ছাগল বাড়ির পাশে আব্বাছ উদ্দীনের ঘাসক্ষেতে গেলে ছাগলগুলোকে বেধে রাখতে বলেন তিনি। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে কথাকাটির এক পর্যায়ে মিনারুল ও তার বাড়ির লোকজন আক্রমণ করলে সংঘর্ষ হয়। তবে এ দাবি অস্বীকার করেছেন মিনারুল ও তার পরিবার। তারা জানান, ছাগল ঘাষের ক্ষেতে গেলে আব্বাছ উদ্দীন ছাগলগুলোকে পিটিয়ে মারাত্মক আহত করে। এর প্রতিবাদ করলে আব্বাছ উদ্দীন তার হাতে থাকা ধারালো হাসুয়া দিয়ে সবাইকে এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকে।
স্থানীয় লোকজন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে আহতদের গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এদের মধ্যে আহত ইনারুলের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে কুষ্টিয়া মেডিকেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
গাংনী থানার ডিউটি অফিসার এসআই আজাদ জানান, সংঘর্ষের ঘটনার পর পুলিশে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। পরিস্থিতি এখন শান্ত ও স্বাভাবিক। তবে এখন পর্যন্ত কেউ কোন অভিযোগ দায়ের করেনি।
পূর্ববর্তী পোস্ট
পরবর্তী পোস্ট
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়, কিন্তু ট্র্যাকব্যাক এবং পিংব্যাক খোলা.