স্টাফ রিপোর্টার: মেহেরপুরের গাংনীতে ইটের ভাটায় চাঁদাবাজি ও বিস্ফোরক আইনে দায়ের হওয়া মামলার পলাতক ৪ ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আটক ডাকাতরা হলেন গাংনী উপজেলার হিজলবাড়িয়া গ্রামের স্কুলপাড়া এলাকার মৃত আজিজুল হকের ছেলে হজরত আলী (৪০), মাইলমারী গ্রামের (টেংরামারী পাড়া) এলাকার মাহাতাব আলীর ছেলে জামাল হোসেন (৪৫), একই গ্রামের মসজিদপাড়া এলাকার নাসির উদ্দীনের ছেলে আক্তারুজ্জামান (৫০) ও সর্দ্দারপাড়া এলাকার পল্লী কবি ছহির উদ্দীনের ছেলে মিনারুল ইসলাম (৬৩)।
গাংনী থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল রোববার রাতের বিভিন্ন সময়ে পৃথক পৃথক অভিযান চালিয়ে এসব আসামিদের গ্রেফতার করেন। সোমবার বিকেলে আনুষ্ঠানিকভাবে এ তথ্য সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন ওসি আব্দুর রাজ্জাক। আটক ডাকাতদের নামে গাংনীর চৌগাছা গ্রামের শওকত আলীর ছেলে ইটভাটা মালিক রোকনুজ্জামান বাদী হয়ে গাংনী থানায় মামলা দায়ের করেন। ওসি আব্দুর রাজ্জাক জানান, মামলার বাদীসহ তার অপর দুই অংশীদার ইয়ারুল ইসলাম ও নাজমুল মিলে কুলবাড়িয়া গ্রামে মা ব্রিকস নামে একটি ইটভাটা পরিচালনা করেন। গত জানুয়ারি মাসের ৬ তারিখ দিবাগত রাতে ১০-১২ জনের সংঘবদ্ধ একটি সন্ত্রাসীদের দল রাত আনুমানিক সাড়ে ১২টার দিকে ইটভাটাতে প্রবেশ করে। এসময় ভাটার ইটপোড়া শ্রমিক মাহবুব, হানিফ, রাইহান, সবুজ হোসেন, নজরুল ইসলাম, রহমান ও মিরাজ হোসেনসহ বেশ কয়েকজন শ্রমিককে ডেকে তোলে। ভাটা মালিককে না পেয়ে একটি মোবাইল নাম্বার দিয়ে বলে তোদের মালিককে ০১৯০৯৬৭৭৯০০ মোবাইল ফোন নম্বরে যোগাযোগ করে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দিয়ে তারপর ভাটায় আগুন দেয়ার নির্দেশ দেয়। এসময় ইটভাটার ক্যাশ বাকস ভেঙে নগদ ৫০ হাজার টাকা লুট করে নেয়। এছাড়া শ্রমিকদের কাছে থাকা বাটনযুক্ত মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়।
এছাড়া শ্রমিকদের কাছে থাকা বাটনযুক্ত মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। আটক ডাকাতদের নামে সন্ত্রাসীমূলক কর্মকান্ডের অভিযোগে একাধিক মামলা রয়েছে বলেও জানান ওসি। সোমবার বিকালে গ্রেফতারকৃত ডাকাতদের ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করে মেহেরপুর আদালতে পাঠানো হয়েছে।