কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: কুষ্টিয়ার খোকসায় ঘুমন্ত স্বামীকে গলাকেটে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে স্ত্রীর বিরুদ্ধে। গৃহবধূ বন্যা খাতুনকে গ্রামবাসী আটক করে পুলিশে দিয়েছে।
জানা গেছে, উপজেলার খানপাড়া গ্রামে শনিবার দিবাগত রাতে পারিবারিক কলহের জের ধরে নিজের শোবার ঘরে গৃহবধূ বন্যা খাতুন তার স্বামী মিশন শেখকে (৩২) ব্লেড দিয়ে গলাকেটে হত্যার চেষ্টা করে। আহত স্বামীর আত্মচিৎকারে পরিবারের লোক ও প্রতিবেশীরা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে নিয়ে যায়। তার অবস্থা সঙ্কটাপন্ন হওয়ায় রাতেই তাকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। পেশায় রাজমিস্ত্রী মিশন গ্রামের আফজালের হোসেনের ছেলে।
আহত মিশনের ভাবি আঞ্জুয়ারা জানান, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রতিদিনের মত শনিবার রাতেও ঝগড়া হয়। এর জের ধরে মিশন তার নিজের শোবার ঘরের মেঝেই মাদুর পেতে ঘুমিয়ে পরেন। ভোরের আজানের কিছু সময় আগে গৃহবধূ ব্লেড দিয়ে স্বামীর গলার ডান পাশে প্রায় ৩ ইঞ্চি কেটে ফেলে। এ সময় মিশন চিৎকার দিলে প্রতিবেশীরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। রাতেই গ্রামবাসী ঘাতক গৃহবধূ বন্যাকে আটক করে। পরে রোববার সকালে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হয়।
আহতের প্রতিবেশীরা জানান, ৬ বছর আগে কুমারখালী উপজেলা পান্টি ইউনিয়নের চাঁদপুর গ্রামের একাধিক স্বামী পরিত্যক্তা বন্যা খাতুনকে বিয়ে করে নিয়ে আসে মিশন। কিন্তু স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিবাদ লেগেই থাকতো। শনিবার রাতেও ঝড়গার সময় গৃহবধূ বন্যা তার স্বামীকে ব্লেড দিয়ে জবাই করে হত্যার হুমকি দেয়। এই দম্পতির ঘরে দুইটি সন্তান রয়েছে।
খোকসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সৈয়দ আশিকুর রহমান বলেন, স্বামীকে ব্লেড দিয়ে হত্যা চেষ্টার সম্পর্কে দুই রকম তথ্য পাওয়া গেছে। আহত মিশন ও তার পরিবারের দাবি স্ত্রী বন্যা তাকে হত্যার চেষ্টা করে। আর স্ত্রী বলছে সে নিজেই নিজের গলায় ব্লেড চালায়। আহতের পরিবারের লোকেরা মামলা নিয়ে আসলে মামলা নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।