ক্ষতিপূরণ চেয়ে পদ্মবিলা ইউপি মেম্বারদের বাড়ি বাড়ি হানা-হুমকি
চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদ নির্বাচনে পরাজিত দুজনসহ ১৪/১৫ জনের বিরুদ্ধে পুলিশে নালিশ
স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদ নির্বাচনে সদস্য পদে প্রার্থী হয়ে পরাজয়ের পর ক্ষতিপূরণ চেয়ে হুমকিসহ অকথ্য ভাষায় গালিগাজের অভিযোগ তুলে সদর থানায় নালিশ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, গত ২০ অক্টোবর রাত সাড়ে ৮টার দিকে মাইক্রোবাস ও মোটরসাইকেল যোগে চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের পদ্মবিলা ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকিসহ গালিগাজ করেছেন পরাজিত সদস্য প্রার্থী দুজনসহ ১৪-১৫ জনের একটি সঙ্গবদ্ধ দল।
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার পদ্মবিলা ইউনিয়ন পরিষদের ৭নং ওয়ার্ডের সদস্য হুমায়ুন কবিরসহ ৮জন সদস্য সদর থানায় উপস্থিত হয়ে অফিসার ইনচার্জ বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন। অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, জেলা পরিষদের ১নং ওয়ার্ড সদস্য প্রার্থী শহিদুল ইসলাম শাহান, মাফলুকাতুর রহমান সাজু, খেজুরা গ্রামের আব্দুস সালাম শাহীনসহ ১৪-১৫জন মাইক্রোবাস ও মোটরসাইকেলযোগে গত ২০ অক্টোবর রাত সাড়ে ৮টার দিকে অভিযোগকারীসহ পদ্মবিলা ইউনিয়নের মেম্বারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিভিন্নভাবে হুমকি ধামকি দেন এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। পরাজয়ের ক্ষতিপূরণের টাকাও দাবি করেন। অভিযোগকারী তথা পদ্মবিলা ইউপির ৭নং ওয়ার্ড সদস্য হুমায়ুন কবিরের বাড়িতে হামলা চালান। তাকে না পেয়ে তার বাড়ির নারীদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং আব্দুস সালাম শাহীন বলেন তোকে পরিষদে যাওয়া বন্ধ করে দেবো। প্রতিকার চেয়ে দাখিলি অভিযোগপত্রে আরও বলা হয়েছে, তদন্তপূর্বক অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে মর্জি হয়।
অপরদিকে জেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটারদের মধ্যে অনেকেই মোবাইলফোনে জানিয়েছেন, জেলা পরিষদ নির্বাচনে পরাজিতদের মধ্যে কয়েকজন যেভাবে ক্ষতিপূরণের টাকা চেয়ে হুমকি ধামকি দিচ্ছেন তাতে ভোটার তথা পৌর ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেম্বারদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে।
এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ওসি মাহবুবুর রহমান জানান, একটি অভিযোগপত্র পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। উল্লেখ্য, গত ১৭ অক্টোবর চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।