কোটচাঁদপুর-জীবননগর সড়কে গাছ ফেলে ডাকাতি : ঘটনাস্থল নিয়ে দুই ওসির ঠেলাঠেলি

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর-জীবননগর সড়কে গাছ ফেলে অবরোধ তৈরি করে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় চালককে কুপিয়ে ও পিটিয়ে মোটরসাইকেল, টাকা ও হাতঘড়ি ছিনিয়ে নেয় ডাকাত দল। গত শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে জেলার কোটচাঁদপুর-জীবননগর সড়কের শাহাপুর মাঠ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এই ডাকাতির ঘটনা দুটি উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় হওয়ায় দুই থানার ওসি একে অপরের এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে বলে দাবি করছেন। এ ঘটনায় আহত সোহাগ হোসেনকে (৩০) কোটচাঁদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। তিনি কোটচাঁদপুর শহরের আদর্শপাড়া এলাকার মোফাজ্জেল হোসেনের ছেলে এবং পেশায় ব্যবসায়ী। আহত সোহাগ হোসেন বলেন, ‘মোটরসাইকেলের চাকা গাছের গুঁড়িতে ধাক্কা খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ৮-১০জন এসে আমার মাথায় আঘাত করে এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে পায়ে কোপ দেয়। আমি মাটিতে পড়ে গেলে তারা আমার সবকিছু ছিনিয়ে নেয়। আমি চিৎকার করেছি, কিন্তু কেউ এগিয়ে আসেনি। অনেকক্ষণ পর একজন এসে আমার পরিবারকে খবর দেয়। পরে পরিবারের সহায়তায় হাসপাতালে আসি।’ তিনি বলেন, ‘এ ঘটনায় অবশ্যই স্থানীয় মানুষ জড়িত। না হলে কেউ অন্তত এগিয়ে আসত। শুনেছি, এ এলাকায় আগেও এমন ঘটনা ঘটেছে। ডাকাতদের হাতে শটগানও ছিলো।’ কোটচাঁদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার সেলিম আক্তার জানান, ‘সোহাগের পায়ে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে।’ এদিকে ঘটনাটি ঘটে দুই থানার সীমান্ত এলাকায়। এ সুযোগে দুই থানার ওসিই ঘটনা তার এলাকায় ঘটেনি বলে দাবি করেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে কোটচাঁদপুর থানার ওসি কবির হোসেন মাতুব্বর বলেন ‘ভুক্তভোগীর সঙ্গে কথা বলেছি, তার মোটরসাইকেল ছিনিয়ে নেয়া হয়েছে। তার শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাতও আছে। তবে ঘটনাটি যেখানে তা চুয়াডাঙ্গার জীবননগরের মধ্যে পড়েছে। আমাদের পুলিশও সেখানে গিয়েছিলো।’ অন্যদিকে জীবননগর থানার ওসি মামুন হোসেন বিশ্বাস বলেন, ‘ঘটনাটি যেখানে ঘটেছে জায়গাটি ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার মধ্যে পড়েছে।’ জীবননগর উপজেলার শাহাপুর পুলিশ ক্যাম্পের টু-আইসি (এএসআই) মোহাম্মদ মামুন বলেন, ‘আমরা নিশ্চিত হয়েছি যে, শাহাপুর মাঠের যে স্থানটির কথা বলা হচ্ছে, সেই ঘটনাস্থল কোটচাঁদপুরের মধ্যে। সেখানে আমরা গিয়েছিলাম। কিন্তু সড়কে কোনো গাছের গুঁড়ি বা ডাকাতির আলামত পাইনি।’

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়, কিন্তু ট্র্যাকব্যাক এবং পিংব্যাক খোলা.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More