কেরুজ শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়ন নির্বাচন ১৬ ফেব্রুয়ারি ॥ নির্বাচন পরিচালনা পর্ষদের বৈঠক

সকালে আন্দোলন বিকেলে ভোটাধিকার ফিরে পেলেন চুক্তিভিত্তিক শ্রমিকরা

দর্শনা অফিস: কেরুজ শ্রমিক-কর্মচারি ইউনিয়নের এবারের নির্বাচনের ধোয়াশা কাটতে শুরু করেছে। এরই মধ্যে বড় ধরণের জটিলতা কাটিয়ে তোলা হয়েছে। সকালে আন্দোলন করলেও বিকেলে পেলেন সুফল। এবারের নির্বাচনে চুক্তিভিত্তিক শ্রমিকরা ভোটাধিকার ফিরে পেলেন। এবার নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার অপেক্ষায় সকলে। তফসিল ঘোষণার পথেই হাটছে নির্বাচন পরিচালনা পর্ষদ। গত ৩ ফেব্রুয়ারি কুষ্টিয়া আঞ্চলিক শ্রম দপ্তরের উপ-পরিচালক মো. জহিরুল হোসেন স্বাক্ষরিত একপত্রে উল্লেখ করা হয় স্থায়ী ও মরসুমি পদে নিয়োজিত বা কর্মরত শ্রমিকদের ট্রেড ইউনিয়নের সদস্য হওয়া ও কর্মকর্তা নির্বাচনে ভোট প্রদানে আইনগত কোন বাঁধা নেই। তথ্যনুয়ায়ী এবারের নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা হতে পারে ১ হাজার ২শ বা তার বেশী ও কম। সেক্ষেত্রে চুক্তি ভিত্তিক শ্রমিক ভোটার সংখ্যা প্রায় ৫শ। চুক্তিভিত্তিকদের ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেয়া হলে মোট ভোটারের প্রায় অর্ধেক ভোটাধিকার বঞ্চিত হতো। চুক্তি ভিত্তিক শ্রমিকরা ভোটাধিকার ফিরে পেতে গতকাল বুধবার সকাল ১০টার দিকে কেরুজ জেনারেল অফিসের সামনে করেছে আন্দোলন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি। ভোটাধিকার ফিরে পাওয়ার দাবিতে বক্তব্য দেন রাশেদুল হক রাসেল, সাইদুর রহমান, চৌধুরী রাসেল আহমেদ, আব্দুল্লাহ আল আমিন, মোর্শেদ আলম লিংকন, পলাশ, মহিদুল ইসলাম, আমিনুল ইসলাম, নাঈমা আহমেদ, সোনিয়া আক্তার, শাহনেওয়াজ, শামীম, রফিকুল, জেলহক, সাকলাইন, তরিকুল ইসলাম, আলী কদর প্রমুখ।
এদিকে গতকাল বুধবার বিকেলে কুষ্ঠিয়া আঞ্চলিক শ্রম দপ্তরের উপ-পরিচালক মো. জহিরুল হোসেন স্বাক্ষরিত, কেরুজ নির্বাচন পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান বরাবর ই-মেইলে পাঠানো অপরপত্রে উল্লেখ করা হয়, স্থায়ী ও মরসুমি পদে নিয়োজিত বা কর্মরত বা সেট-আপের অনুকূলে স্থায়ী পদের অনুকূসেবা মরসুমি পদের অনুকূলে নিয়োজিত বা কর্মরত শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়নের গঠনতন্ত্রের ৪ ধারা মোতাবেক ইউনিয়নের সদস্য হতে পারবে। এ পত্রে যেমন স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন চুক্তিভিত্তিক শ্রমিকরা, তেমনি উল্লাসিত হয়েছেন প্রার্থীরাও। ফলে বড় ধরণের এক জটিলতার গিট খুললো। এ নিয়ে গতকাল বুধবার রাত ১০টার দিকে প্রার্থীদের নিয়ে বৈঠকে বসেন নির্বাচন পরিচালনা পর্ষদ। কমিটির চেয়ারম্যান, মিলের মহাব্যবস্থাপক (অর্থ) আব্দুছ ছাত্তার জানান, তফসিল ঘোষনা ও নির্বাচনী আচরণ বিধি নিয়েই এ বৈঠক। শেষ পর্যন্ত বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানা যায়নি। কবে নাগাদ তফসিল ঘোষনা হচ্ছে সে তথ্যও প্রকাশ হয়নি।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়, কিন্তু ট্র্যাকব্যাক এবং পিংব্যাক খোলা.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More