কেরুজ আবাসিক এলাকা থেকে ফেনসিডিলসহ রহিমা আটক

স্টাফ রিপোটার: মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের খুলনা বিভাগীয় অতিরিক্ত পরিচালক ও সহকারী পরিচালকসহ চুয়াডাঙ্গা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের পরিচালক দর্শনায় মাদকবিরোধী সফল অভিযান চালিয়েছে। কেরুজ আবাসিক এলাকায় অভিযান চালিয়ে আটক করেছে অভিযুক্ত মাদককারবারী রহিমাকে। মাকে আটক করতে পারলেও অভিযুক্ত হোতা ছেলে সাগর দিয়েছে গা ঢাকা। মা-ছেলের বিরুদ্ধে থানায় দায়ের করা হয়েছে মামলা। গতকাল সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের খুলনা বিভাগীয় অতিরিক্ত পরিচালক আবুল হোসেন, সহকারী পরিচালক শরিয়ত উল্লাহ, চুয়াডাঙ্গা পরিচালক আব্দুল্লাহ আলম মামুন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে মাদকবিরোধী অভিযান চালান দর্শনা কেরুজ টেডি কোয়ার্টার এলাকায়। ফজলুর রহমানের ছেলে কেরুজ চিনিকলের মরসুমি ট্র্যাক্টর চালক সাগর হোসেনের বাড়িতে তল্লাশি অভিযান শুরু করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণের কর্মকর্তারা। এ অভিযানে উদ্ধার করা হয় ১৩০ বোতল ফেনসিডিল। ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে আটক করা হয়েছে ফজলুর রহমানের স্ত্রী রহিমা বেগমকে (৫০)। অভিযান টের পেয়ে কৌশলে গা ঢাকা দিয়েছে মাদক কারবারীচক্রের অভিযুক্ত হোতা সাগর। এ ঘটনায় চুয়াডাঙ্গা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ-পরিদর্শক আকবর হোসেন বাদি হয়ে গতকালই মা রহিমা ও ছেলে সাগরের বিরুদ্ধে দর্শনা থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, সাগরকে আটকের জন্য জাল বিস্তার করা হয়েছে। অচিরেই আটক করা হবে সাগরকে। তিনি আরো জানান, দর্শনাসহ আশপাশ এলাকার চিহ্নিত মাদককারবারীদের আটকে এ অভিযান চলমান অব্যাহত থাকবে। পক্ষান্তরে অভিযুক্ত সাগর লিখিতভাবে জানিয়েছেন আমার বাবা একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। আমি মুক্তিযোদ্ধা সন্তান। প্রতিবেশী বেশ কয়েকজন দীর্ঘদিন ধরে আমাকে ফাঁসানোর পাঁয়তারা করে আসছিলো। আমি বাড়ি না থাকার সুযোগে তারা এ ফেনসিডিল আমার বাড়িতে রেখে মাকে ও আমাকে ফাঁসিয়েছে। ঘটনার সঠিক তদন্ত করা হলে ষড়যন্ত্রকারীদের মুখোশ উন্মোচন হবে।

 

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More