কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: কুষ্টিয়া শহরের মিলপাড়ায় সাত বছর বয়সী এক মেয়ের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় বাড়ির পেছনের একটি ঘর থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। এর আগে বিকেল চারটা থেকে শিশুটিকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিলো না। পুলিশ বলছে, প্রাথমিকভাবে তাদের মনে হয়েছে শিশুটি গলায় কাপড় পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তবে পরিবারের অভিযোগ, আত্মহত্যা নয়; মেয়েটিকে হত্যার পর ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। নিহত শিশুর বাবা একটি কাপড়ের দোকানে বিক্রয়কর্মী হিসেবে কাজ করেন, মা গৃহিণী। দুই বোনের মধ্যে সুরাইয়া বড়। ৪৫ দিন বয়সী তার একটি ছোট বোন রয়েছে।
কুষ্টিয়া মডেল থানার পরিদর্শক নিশিকান্ত সাহা বলেন, গতকাল বিকেল থেকে মেয়েটিকে পাওয়া যাচ্ছিলো না। অনেক খোঁজাখুঁজির পর রাতে বসতবাড়ির একটি ঘরে আড়ার সঙে কাপড়ে মেয়েটিকে ঝুলতে দেখা যায়। দ্রুত তাকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক মেয়েটিকে মৃত ঘোষণা করেন। থানার পরিদর্শক আরও বলেন, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। প্রাথমিকভাবে মনে হয়েছে শিশুটি আত্মহত্যা করেছে।
বেলা একটার দিকে হাসপাতালের মর্গের সামনে বুক চাপড়ে কাঁদছিলেন নিহত শিশুটির মা। তিনি বলেন, আমার মেয়ে গলায় ফাঁস দিতে পারে না। তার বয়স মাত্র সাত বছর। তাকে হত্যার পর ঝুলায়ে রাখা হয়েছে। আমি কয়েকজনকে সন্দেহ করছি; তাদের ধরলে সব বারি (বের) যাবি।’ শিশুটির বাবা বলছিলেন, আমার মিয়াকে (মেয়ে) মারি ফেলাচে। বিচার চাই। ও আত্মহত্যা করতি পারে না।
জানতে চাইলে কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন এইচএম আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।