কুষ্টিয়ায় শিক্ষক নির্যাতনের ঘটনায় আবারও রাস্তায় শিক্ষার্থীরা

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: কুষ্টিয়ায় বিদ্যালয়ের জায়গা দখলে বাধা দেয়ায় পৌর কাউন্সিলর কর্তৃক প্রধান শিক্ষককে হামলা ভাংচুরের ঘটনায় করা মামলার প্রধান অভিযুক্তকে পুলিশের দেয়া সময়ের মধ্যে গ্রেফতার না করার প্রতিবাদের ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আবারও মানববন্ধন করেছে। সেই সাথে হামলাকারী কাউন্সিলর সোহেল রানা আশাকে গ্রেফতার না করা পর্যন্ত প্রতিদিন ক্লাস বর্জনসহ এ মানববন্ধন চালিয়ে যাবার ঘোষণা দিয়েছে শিক্ষার্থীরা। শনিবার দুপুর ১টায় কুষ্টিয়া সদর উপজেলার লাহিনী এলাকাস্থ কুুষ্টিয়া-রাজবাড়ি আঞ্চলিক মহাসড়কে কয়েক শ’ শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ ও হামলাকারীদের গ্রেফতার দাবিতে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় শিক্ষার্থীরা বলেন, একজন জনপ্রতিনিধি কিভাবে স্কুলের জায়গা দখল করে নির্মাণ সামগ্রী ফেলে, ক্রাসার মেশিনে বিকট শব্দ করে শিক্ষার পরিবেশ দুষণসহ দীর্ঘদিন ধরে জোরপ‚র্বক বিদ্যালয়ের বিদ্যুত পানি ব্যবহার করে আসছিলো। এটা নিষেধ করায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলামের ওপর বর্বর হামলা চালিয়ে তাকে গুরুতর আহত করে। গত বৃহস্পতিবারের এ ঘটনায় শিক্ষার্থীরা রাস্তা অবরোধ করে প্রতিবাদ জানালে পুলিশ প্রশাসন ২৪ ঘন্টার মধ্যে আসামি গ্রেফতারের অঙ্গীকার করায় শিক্ষার্থীরা রাস্তা থেকে অবরোধ তুলে নেয়। অথচ ওই ঘটনায় কাউন্সিলর সোহেল রানা আশাকে প্রধান করে ৪জনের নামোলে­খসহ অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে মামলা হলেও অদ্যবধি এমামলার প্রধান আসামী হামলাকারী সোহেল রানা আশাকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। অন্যদিকে কাউন্সিলর আশা এলাকাতেই গা ঢাকা দিয়ে থেকে নানা ভাবে হুমকি প্রদান করে চলেছে বলেও অভিযোগ শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের।

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার কুষ্টিয়া পৌর এলাকাধীন ২১নং ওয়ার্ডস্থ লাহিনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম তার নিজ কার্যালয়ে কর্মরত অবস্থায় স্থানীয় পৌর কাউনিন্সলর সোহেল রানা আশা কক্ষে প্রবেশ করে কোন কিছু বুঝে উঠার আগেই প্রধান শিক্ষকের ওপর হামলা করে গুরুতর আহত এবং অফিসের আসবাবপত্র ভাংচুর করেন। এসময় ওই শিক্ষককে উদ্ধারে অন্যরা এগিয়ে এলে তাদেরকেও ওই কাউন্সিল বেধরক মারধর করে বলে অভিযোগ শিক্ষকদের।

কুষ্টিয়া জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা জায়েদুর রহমান বলেন, ‘শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনায় করা মামলায় আইন শৃৃংখলা বাহিনী যথাযথ আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন বলেই আশা রাখি। অন্যায়ভাবে একজন জনপ্রতিনিধি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে এভাবে প্রহার করবে, কিছুদিন প‚র্বে একইভাবে সদর উপজেলার বারখাদায় মাধ্যমিক বিদ্যালয়েও একজন কাউন্সিলর একই ঘটনা ঘটালেন যা কোনোভাবেই তুচ্ছ করে দেখার সুযোগ নেই’। তবে এবিষয়য়ে মন্তব্য নিতে অভিযুক্ত পৌর কাউন্সিলর সোহেল রানা আশার মুঠোফোনে কল করলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।

কুষ্টিয়া মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) নিশিকান্ত সরকার বলেন, গত বৃহষ্পতিবার সকালে লাহিনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের ওপর হামলা ও তার অফিস কক্ষে ভাংচুরের ঘটনায় দায়ের মামলায় তাছের নামের একজন এজাহারভুক্ত আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এছাড়া এমামলার প্রধান আসামি কাউন্সিলর সোহেল রানা আশা ছাড়াও এজাহারভুক্ত ভ্যাপচা ফারুক ও আনছের আলীকে গ্রেফতারে পুলিশী অভিযান চলছে।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More