কালীগঞ্জ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে খাবার হোটেলে ছেলে পরিচয়ে রেখে যাওয়া সেই বৃদ্ধার পরিচয় মিলেছে। বৃদ্ধার নাম জমেনা খাতুন। তিনি যশোরের রুপদিয়া এলাকার মৃত কেরামত আলীর স্ত্রী। গতকাল শুক্রবার রাতে বৃদ্ধার জ্ঞান ফিরলে তাকে পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এর আগে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে ছেলে পরিচয়ে কালীগঞ্জ শহরের শাহী নান্না বিরিয়ানি হাউজে এক বৃদ্ধাকে বসিয়ে রেখে চলে যান ছেলে পরিচয়দানকারী এক যুবক। এরপর আর ফিরে আসেনি সেই যুবক। হোটেলেই অজ্ঞান হয়ে পড়ে যান বৃদ্ধা। খবর পেয়ে কালীগঞ্জ থানার এসআই আলামিন হোসেন ও সঙ্গীয় ফোর্স এসে বৃদ্ধাকে উদ্ধার করে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
কালীগঞ্জ থানার এসআই আলামিন হোসেন জানান, বৃদ্ধাকে উদ্ধারের সময় তিনি অজ্ঞান অবস্থায় ছিলেন। কোনোভাবেই সম্ভব হয়নি তার পরিচয় জানার। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রায় ২৪ ঘণ্টা চিকিৎসার পর তার জ্ঞান ফিরে এলে তিনি কথা বলতে পারেন।
বৃদ্ধার বরাত দিয়ে এসআই আলামিন জানান, তিনি গান্না ইউনিয়নের মাধবপুর এলাকায় যাচ্ছিলেন বেয়াই বাড়ি। পথিমধ্যে শহরের নিমতলা এলাকায় এক যুবক তাকে অনুসরণ করেন। এসময় বৃদ্ধার সঙ্গে ওই যুবকের কথাও হয়। বৃদ্ধাকে মিষ্টি কিনে দেয়ার জন্য নিয়ে যান শাহী নান্না বিরিয়ানি হাউজে। বৃদ্ধার কাছে এক হাজার ৬০০ টাকা ছিলো। এ সময় এক হাজার টাকা নিয়ে পানের সঙ্গে চেতনানাশক কিছু খাইয়ে সে পালিয়ে যায়। শুক্রবার সন্ধ্যায় ওই বৃদ্ধার জ্ঞান ফিরে এলে তার ছেলে সাহেব আলী ও বেয়াই আব্দুল শাহের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
পূর্ববর্তী পোস্ট
পরবর্তী পোস্ট
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ