স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের নতুন ভবনে দুটি লিফটের একটি আগে থেকেই অচল হয়ে পড়ে আছে। গতকাল রোববার রাত সাড়ে ১২টা থেকে অপর লিফটও হঠাৎ অচল হয়ে পড়েছে। এতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে রোগী, স্বজন ও সংশ্লিষ্টদের। বয়োবৃদ্ধ রোগীদের তার স্বজনেরা ঘাড়ে করে সিড়ি বেয়ে নিয়ে যেতে দেখা গেছে। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. হাসানুর রহমান দৈনিক মাথাভাঙ্গাকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, একটা লিফট আগে থেকেই অকার্যকর অবস্থায় রয়েছে। গতকাল রাত সাড়ে ১২টা থেকে অপর লিফটও অচল হয়ে পড়ে। এতে রোগী ও স্বজনসহ হাসপাতালের কর্মকর্তাদের ভোগান্তিতে পোহাতে হচ্ছে। বিষয়টি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছে। সকালে মেরামত করবেন বলে জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।
সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, স্বজনরা তাদের রোগীদের কাঁধে করে, কোলে নিয়ে, ট্রলিতে করে নিয়ে যাচ্ছেন। পঞ্চম ও ষষ্ঠ তলায় মেডিসিন ওয়ার্ডে বয়স্ক নারী-পুরুষ ভর্তি রয়েছেন। এতে রোগীর বয়োবৃদ্ধ স্বজনদের সিঁড়ি বেয়ে উঠতে খুব কষ্ট হচ্ছে। জটিল রোগীকে তার স্বজনরা পাজাকোলা কিংবা ঘাড়ে করে নিয়ে যাচ্ছেন।
এক রোগীর স্বজন বলেন, আমি হার্টের রোগী। আমার এক রোগী ষষ্ঠ তলায় চিকিৎসাধীন। এসে দেখি লিফট বন্ধ হয়ে আছে। সিঁড়ি বেয়ে উঠতে গিয়ে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। কিছুক্ষণ পর পর দম নিয়ে সিঁড়ি বেয়ে রোগীর কাছে পৌঁছেছি।
বৃষ্টি নামে এক নারী বলেন, পঞ্চম তলায় আমার নানি ভর্তি আছে। আমি নানিকে দেখশোনা করছি। দিনে খাবার, ওষুধসহ ১০-১২ বার নামতে হচ্ছে। আড়াই বছরের সন্তানকে নিয়ে সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামায় প্রচুর বেগ পেতে হচ্ছে।
তানভির নামে একজন বলেন, আমার বৃদ্ধ শাশুড়ির কয়েক দিন ধরে জ্বর, শ্বাসকষ্ট। রাতে হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করি। চিকিৎসক ৬ষ্ঠ তলায় পাঠায়। একদিকে লিফট বন্ধ থাকায় নিজেই শাশুড়িকে ঘাড়ে ও কোলে করে নিয়ে যেতে হচ্ছে।
এই ভবনের চিকিৎসক, স্টাফ ও স্বেচ্ছাসেবকরা বলেন, দায়িত্ব পালনকালে অসংখ্যবার বিভিন্ন ফ্লোরে যেতে হয়। এ সময় আমরা লিফট ব্যবহার করি। লিফট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আমাদেরও ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. ফাতেহ আকরামের নাম্বারে কল করলে তিনি রিসিভ করেননি।