স্টাফ রিপোর্টার: নোভেল করোনা ভাইরাসের দূর্দিনে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রীর দাম। মাছ মাংসের দাম যেমন লাগামহীন হয়ে পড়েছে তেমনই কাঁচা তরিতরকারি তথা আনাজেও লেগেছে মূল্যবৃদ্ধির আঁচ। ফলে স্বল্প আয়ের বহুপরিবারেই তরকারির বদলে পাতে জুটছে নুন-ভাত। ছোটখাটো প্রতিষ্ঠানে খেটে খাওয়া অনেকেই কর্ম হারিয়ে হয়ে পড়েছেন বেকার। ফলে তাদের দুশ্চিন্তার অন্ত নেই। গতকাল চুয়াডাঙ্গার কয়েকটি খুচরা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সব ধরণের মাছের দাম বেড়েছে কেজিতে প্রায় ১শ’ টাকা। আর মুরগি? দেশি মুরগির দাম দাঁড়িয়েছে সাড়ে ৪শ’ টাকা। ব্রয়লার ১৭০, লেয়ার আড়াইশ, প্যারেন্ট আড়াইশ, সোনালী মুরগির দাম দাঁড়িয়েছে ২শ ২০ টাকায়। গরু ও খাসির গোস্তের দাম অনেকটা একই রয়েছে। তবে ক্রেতার সংখ্যা কমেছে। আনাজের বাজারে আলুর দাম ২৫ টাকা, বেগুনের দাম ৩০ টাকা, ক্ষিরা ২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। পিয়াজ ৪৫, রসুন ১২০ টাকা কেজি। ডাল নুন মশলার বাজারে রোজার মধ্য থেকেই দাম বৃদ্ধি শুরু হয়। সেই বর্ধিত দামেই তেল মশলা বেচা-বিক্রি চলছে।
এসব নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বৃদ্ধির বিষয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে স্বপ্ল আয়ের এক গৃহকর্তা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বললেন, পাতে তরকারি জোটানো দায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভাগ্যিস এখনও নুনের দাম কিছুটা হলেও নাগালে আছে তা না হলে আল্যো ভাতই গিলতে হতো আমাদের।