ওস্তাদের মার শেষ রাতে

আলমডাঙ্গা ব্যুরো: ওস্তাদের মার শেষ রাতে। এই প্রবাদ প্রবচনটিতে নতুন করে প্রাণ সঞ্চার করেছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বর্ষীয়ান নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন। তিনি একাধিক্রমে পর পর ৪র্থ বারের মতো চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। এ এক বিরল সৌভাগ্য আর কৃতিময় অর্জন। এই অর্জনের মধ্যদিয়ে আবার এই প্রবাদটিকে প্রাণবন্ত করে তুলেছেন তিনি। গতকাল ৭ জানুয়ারি সন্ধ্যার পর থেকে সকলের মুখে মুখে এ কথাটি।
এ বার নির্বাচনি বৈতরণি পার হওয়া রীতিমতো চ্যালেঞ্জিং ছিল। একদিকে, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর দেদারচে অর্থ ছড়ানো। অন্যদিকে, তার বহু পরীক্ষিত সহকর্মীদের অনেকের লোভের বশবতী হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সাথে যোগদানের ঘটনা। শিশু থেকে বৃদ্ধ সকলেই যেন নির্বাচনে অর্থ হাতিয়ে নিতে উন্মাদের মতো আচরণ শুরু করেছিলেন। মনে হচ্ছিল ‘অর্থই অনর্থের মূল।’ মনে হয়েছিল এ সব নতুন প্রার্থীদের যেন কোন দায়িত্ব নেই। অর্থের কাছে শিশু, কিশোর, শিক্ষার্থীদের নীতি িৈতকতা শীত শেষে ঝরা পাতার মতো খসে খসে পড়ছিল। মনে হচ্ছিল ‘সবকিছু নষ্টদের অধিকারে যাবে।’
এই অনর্থের মাঝে, নিজের দীর্ঘদিনের সহকর্মীদের জলদগম্ভীর শঠতার, ষড়যন্ত্রের মধ্যে বটবৃক্ষের মত অবিচল থেকে শেষ পর্যন্ত বিজয়ের বরমাল্য ছিনিয়ে নিলেন পরীক্ষিত দেশপ্রেমিক বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন। জীবন সায়াহ্নে বহুবিধ চ্যালেঞ্জ সাফল্যের সাথে মোকাবেলা করে বিজয় ছিনিয়ে নিয়েছেন তিনি। এ ঘটনা আলমডাঙ্গার সর্বত্র আলোচিত হচ্ছে। সবার মুখে মুখে ‘ওস্তাদের মার শেষ রাতে।’ সত্যিই তো তিনি ওস্তাদ। এই অঞ্চলে তারই হাত ধরে যারা একদিন আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছিলেন, আজ তারাই বিভিন্ন পর্যায়ে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। দলের দীর্ঘ বিপর্যয়ে, দুর্দিনে তিনি এসব নেতাকর্মীদের বুকের তলে লুকিয়ে রেখেছিলেন। বুকের অকৃত্রিম ওম দিয়ে বাঁচিয়ে রেখেছিলেন। জয়তু চুয়াডাঙ্গা-আলমডাঙ্গার রাজনৈতিক মহীরুহ!

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়, কিন্তু ট্র্যাকব্যাক এবং পিংব্যাক খোলা.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More