ইটবাহী ট্রলির সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষে মোটরসাইকেলচালক নিহত
চুয়াডাঙ্গা-জীবননগর সড়কের ডুগডুগিতে দুর্ঘটনা : গৃহবধূ আহত
দামুড়হুদা প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলায় ইটবাহী ট্রলির সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষে মোটরসাইকেলের চালক বজলুর রহমান (৪২) নিহত হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার দুপুর আনুমানিক ২টার দিকে চুয়াডাঙ্গা-জীবননগর সড়কে হাউলী ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্রের সামনে ডুগডুগি গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত বজলুর সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়নের বড়শলুয়া গ্রামের আব্দুল জব্বারের ছেলে। দুর্ঘটনায় হিরা খাতুন (২৮) নামের এক গৃহবধূ আহত হয়েছেন। তিনি দর্শনা পৌর এলাকার রামনগর গ্রামের সেলিম উদ্দিনের স্ত্রী। তিনি নিহত বজলুরের আত্মীয়।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বড়শলুয়া গ্রামের বজলুর রহমান বজলু দর্শনা রামনগর গ্রামের হিরা খাতুন নামের এক গৃহবধূকে নিজের ১৫০সিসি ভারতীয় পালসার মোটরসাইকেলযোগে চুয়াডাঙ্গার দিকে যাচ্ছিলেন। এসময় দামুড়হুদার ডুগডুগি বাজার নামক স্থানে পৌঁছুলে বিপরীত দিক থেকে আসা শেখ ব্রিকসের একটি ইটবোঝাই পাওয়ার ট্রলির সাথে মুখোমুখি সংঘের ঘটনা ঘটে। এ সময় মোটরসাইকেল চালক বজলুর ও আরোহী হিরা খাতুন পিচ রাস্তায় ছিটকে পড়ে গুরুতর আঘাত পেয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান মোটরসাইকেল চালক। সংবাদ পেয়ে দামুড়হুদা ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আহত গৃহবধু ও লাশ উদ্ধার করে। রক্তাক্ত জখম অবস্থায় উদ্ধারকৃত গৃহবধূকে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপে¬ক্সে ভর্তি করা হয়। গৃহবধূর মুখে ও কানের পিছনে ৫টি সেলাই দেয়া হয়েছে। বর্তমানে আহত গৃহবধূ হিরা খাতুন দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ঘটনার পরপরই দামুড়হুদা মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে দুর্ঘটনার শিকার মোটরসাইকেল ও ইটবোঝাই পাওয়ার ট্রলিটি থানা হেফাজতে নেয়।
দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবু হেনা মোহাম্মদ জামাল শুভ বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় আহত আবস্থায় দুপুরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা হিরা খাতুন নামে এক নারীকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। দ্রুত তাকে ভর্তি করে নিয়ে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। বর্তমানে তিনি আগের তুলনায় এখন অনেকটা সুস্থ।
দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি ফেরদৌস ওয়াহিদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, পাওয়ার ট্রলি উদ্ধার করে থানায় নেয়া হয়েছে। নিহত বজলুর রহমানের পরিবারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনো মামলা করবে না মর্মে লিখিত দেয়ায় লাশের ময়না তদন্ত না করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।