জীবননগর ব্যুরো: চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে আড়াই কোটি টাকার ১৪টি সোনার বারসহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে বিজিবি। গতকাল শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান বিজিবির মহেশপুর ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক মাসুদ পারভেজ রানা। এর আগে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলার হাসাদাহ বাসস্ট্যান্ড থেকে সোনার বারসহ তাদের গ্রেফতার করা হয়। এ সময় জব্দ করা হয় একটি প্রাইভেটকার। গ্রেফতার হলেন নড়াইল জেলার লোহাগড়া থানার মো. এবাদুল মোল্লা (২৬), মো. মাহাবুর হাসান (২৭), রিয়াজ কাজী (২১), নড়াগতী থানার শেখ সোহেল রানা (৩৫)। এদিকে গত বৃহস্পতিবার সকাল ও দুপুরে পুলিশ ও বিজিবি পৃথক অভিযান চালিয়ে ৩ কেজি সোনাসহ (২৮টি বার) একজনকে গ্রেফতার করে।
বিজিবি জানায়, সোনা পাচারের উদ্দেশ্যে হাসাদাহ থেকে প্রাইভেটে কারে কয়েকজন সীমান্ত এলাকায় যাচ্ছে এমন তথ্য পেয়ে রাতে অভিযান চালায় বিজিবি। এ সময় ১৪টি সোনার বারসহ আটক করা হয় এবাদুল মোল্লা, মাহাবুর হাসান, রিয়াজ কাজী ও শেখ সোহেল রানাকে। শুক্রবার তাদের বিরুদ্ধে বিজিবি বাদি হয়ে মামলা করে জীবননগর থানায় হস্তান্তর করে। জব্দ সোনার বারগুলো চুয়াডাঙ্গা ট্রেজারি অফিসে জমা দেয়া হয়েছে।
মহেশপুর ৫৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, গত বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার পাতিলা গ্রামে অভিযান চালিয়ে এক কেজি ৮৬৫ দশমিক ৫৭ গ্রাম সোনার ১৬টি বারসহ মো. সেলিম হোসেনকে আটক করা হয়। এ সময় পালিয়ে যান তার আরও এক সহযোগী। জব্দ এসব সোনার বাজার মূল্য এক কোটি ৫৯ লাখ ৯৮ হাজার ৯৫৮ টাকা। মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম আরও বলেন, জব্দকৃত সোনার বারগুলো চুয়াডাঙ্গা ট্রেজারি অফিসে জমা দেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় বিজিবি বাদী হয়ে জীবননগর থানায় মামলা করে সেলিম হোসেনকে হস্তান্তর করেছে।
জীবননগর থানার ওসি নাসির উদ্দিন বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুরে জীবননগর পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডে রাস্তায় ফেলে রাখা একটি মোটরসাইকেল থেকে দেড় কেজি সোনা, ১৩৬ ভরি ওজনের একটি চেন ও ব্রেসলেট উদ্ধার করা হয়। এর বাজার মূল্য এক কোটি ১৯ লাখ ৭৯ হাজার টাকা। এ ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে।
জীবননগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আবু সাঈদ বলেন, বৃস্পতিবার সকালে সোনাসহ গ্রেফতার সেলিম হোসেনকে থানায় হস্তান্তর করেছে বিজিবি। শুক্রবার তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়। এদিকে সোনাসহ গ্রেফতার আরও চারজনের বিরুদ্ধে বিজিবি বাদী হয়ে মামলা করে থানায় হস্তান্তর করেছে।