আলোচিত সেই নুপুরকে গণপিটুনি : ভ্রাম্যমাণ আদালতে কারাদণ্ড
চুয়াডাঙ্গা সনো সেন্টারে রোগীদের টাকা চুরির সময় হাতেনাতে ধরা
স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা সনো সেন্টারে রোগীদের ভ্যানিটি ব্যাগ থেকে কৌশলে টাকা চুরির সময় আবারো পাকড়াও হয়েছে আলোচিত সেই আসমা আক্তার নুপুর। এ সময় উপস্থিত উত্তেজিত জনতা তাকে পিটুনি শেষে পুলিশের নিকট হস্তান্তর করে। তার নিকট থেকে উদ্ধার করা হয়েছে চুরির ১০ হাজার ৮০০ টাকা, এক জোড়া হাতের বালা এবং এক জোড়া পায়ের নূপুর। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত উপস্থিত হয়ে বিচারক ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদ- প্রদান করেন। জানা গেছে, গতকাল শুক্রবার দুপুরে শহরের সদর হাসপাতাল রোডে অবস্থিত সনো সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে। আসমা আক্তার নুপুর (২৫) আলমডাঙ্গা উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের ওবাইদুল হকের মেয়ে। তার স্বামীর নাম রাসেল শেখ।
সনো সেন্টার কর্তৃপক্ষ জানায়, প্রায় ২ মাস যাবত প্রতি শুক্রবার সেবা নিতে আসা রোগীদের টাকা চুরির ঘটনা ঘটেছিলো। গতকাল বেশ কিছু রোগীদের ভ্যানিটি ব্যাগ থেকে টাকা চুরি করে এই নারী। অপর এক নারীর টাকা চুরির সময় হাতেনাতে ধরা পড়ে সে। এ সময় রোগীর স্বজনেরা তাকে আটক করে উত্তম মধ্যম দিয়ে পুলিশে হস্তান্ততর করে। তার ব্যাগ থেকে চুরি করা মোট ১০ হাজার ৮০০ টাকাসহ এক জোড়া হাতের বালা এবং এক জোড়া পায়ের নূপুর উদ্ধার করা হয়। পুলিশ টাকার মালিকদের চিহ্নিত করে টাকাগুলো তাদের নিকট হস্তান্তর করে। এদিকে খবর পেয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের একটি টিম আসমা আক্তারকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়। পরে পুলিশ কর্তৃক ভ্রাম্যমাণ আদালতকে আবগত করলে ঘটনাস্থলে ভ্রাম্যমাণ আদালত উপস্থিত হয়। এ সময় আসমা আক্তার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করলে বিচারক চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট (ইউএনও) শামীম ভূইয়া আসমা আক্তার নুপুরকে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদ- প্রদান করেন। চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) হাসানুজ্জামান দৈনিক মাথাভাঙ্গাকে বলেন, খবর পেয়ে ওই নারীকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। তার নিকট থেকে উদ্ধার হওয়া টাকা ও মালামাল মালিকদের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতকে আবগত করলে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক তাকে ৩ মাসের কারাদ- প্রদান করেন। উল্লেখ্য, ২০১৮ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে সেবা নিতে আসা রোগীদের টাকা চুরির সময় তিনবার হাতেনাতে আটক হয় এই আসমা আক্তার নুপুর। সেই সময়ও চুরির টাকা উদ্ধার করা হয় তার নিকট থেকে। পুলিশ আটক করে নিয়ে গেলেও কেউ কোন অভিযোগ বা মামলা না করায় মুক্ত হয়ে আবারো পুরনো পেশায় ফিরে যায়।