করোনার প্রকোপ ঠেকাতে উপজেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা
আলমডাঙ্গা ব্যুরো: আলমডাঙ্গায় করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে ‘নো মাস্ক, নো সার্ভিস’ শীর্ষক প্রচারণা বাস্তবায়ন ও স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে রেলস্টেশন এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ৬ জনকে জরিমানা করেছেন। পাশাপাশি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. লিটন আলী সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করেন। গতকাল বৃহস্পতিবার উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ কার্যক্রম পরিচালনা করেন।
জানা যায়, শীতের প্রারম্ভেই করোনাভাইরাস সংক্রমণের ২য় ঢেউ আতঙ্ক শুরু হয়েছে। শীত পড়তে না পড়তেই দেশে করোনা সংক্রমণের হার বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। এরই মধ্যে প্রশাসনও আগাম ব্যবস্থা গ্রহণে তৎপরতা শুরু হয়েছে। বাড়ির বাইরে চলাচলরত অবস্থায় সকলকে অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। কোনো ব্যক্তি এই আইন অমান্য করলে তার বিরুদ্ধে সংক্রমণ আইনে ব্যবস্থা নেয়া হবে। স্বাস্থ্য অধিদফতর ৬ মে এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করে। নির্দেশনা মতে, মাস্ক না পরে বা অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি না মেনে বাইরে চলাচল করলে সর্বোচ্চ ছয় মাসের কারাদ- বা এক লাখ টাকা জরিমানা করা যাবে। সারাদেশের ন্যায় আলমডাঙ্গায়ও শতভাগ মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিতে উপজেলা প্রশাসন কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার আলমডাঙ্গা উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শহরে বাধ্যতামূলক মাস্ক পরিধানের ব্যাপারে সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছে। শতভাগ মাস্ক পরিধান নিশ্চিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার লিটন আলীর নেতৃত্বে স্টেশন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে ৬ জনকে জরিমানা করা হয়। আর্থিক দন্ড প্রদানকারী স্টেশন এলাকার বিসমিল্লাহ ডিপার্টমেন্টাল স্টোরের মালিক সাজ্জাদ হোসেনকে ৮শ’ টাকা, দামুড়হুদা কুশাঘাটার রাজুকে ২শ টাকা, শহিদুলকে ২শ টাকা, মিরপুর উপজেলার ইশেলমারীর অনিককে ২শ টাকা, চুয়াডাঙ্গার শফিককে ২শ টাকা, এক্সঞ্জেনপাড়ার গোলদারকে ১শ টাকা জরিমানা করেন। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকালে উপস্থিত ছিলেন আলমডাঙ্গা থানার এসআই জামাল উদ্দিন, আলমডাঙ্গা পৌরসভার স্যানেটারি ইন্সেপেক্টর মাহফুজুর রহমান রানা, সহকারী লাইসেন্স পরিদর্শক সৈয়দ বাবুল আক্তার, আবু সায়েম প্রমুখ। উপজেলা নির্বাহী অফিসার লিটন আলী বলেন, আলমডাঙ্গাবাসীর কল্যাণে করোনা ভাইরাসের সম্ভাব্য দ্বিতীয় ঢেউ প্রতিরোধে উপজেলা প্রশাসনের এ প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। শহরে মাস্ক পরিধান না করলে কাউকে সেবা প্রদান করা যাবে না। মাস্ক পরিধান ব্যতীত গণপরিবহণে ভ্রমণের কোনো সুযোগ নেই।