আলমডাঙ্গা ব্যুরো: আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ পৃথক মাদক বিরোধী অভিযান চালিয়ে মাদক স¤্রাজ্ঞী আলোমতি ও মাদক স¤্রাট রুবেলসহ ৬ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার করেছে। তাদের নিকট থেকে উদ্ধার করেছে বাজারে বিক্রয় নিষিদ্ধ ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট ও গাঁজাসহ মাদক বিক্রয়ের নগদ টাকা। তাদের নামে আলমডাঙ্গা থানায় বেশ কয়েকটি মাদক মামলা রয়েছে
জানা গেছে, আলমডাঙ্গা রেলস্টেশনপাড়ার মাদক স¤্রাজ্ঞী মিনির মেয়ে লন্ডারিং ও মাদকসহ প্রায় ১ ডজন মামলার আসামি মাদক স¤্রাজ্ঞী আলোমতি (৩৮) দীর্ঘ বছর ধরে মাদক ব্যবসা করে আসছেন। তিনি তার জীবনে বেশ কয়েকবার জেলে গিয়েছেন। মায়ের মত আলোমতিকেও চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুর, ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়াসহ আশপাশ জেলার মাদকসেবীরা এক নামেই চেনে। তিনি একসময় আলমডাঙ্গা রেলস্টেশনে মাদকের স্বর্গরাজ্য গড়ে তুলেছিলেন। আলোমতি তার মা মাদক স¤্রাজ্ঞী মিনি বেগম, বাবা, তার স্বামী রুবেল, ছেলে-মেয়ে, বোন ও বোনের স্বামীরাসহ তার পরিবারের সকলেই মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত। আলমডাঙ্গা রেল স্টেশনে একসময় হাত বাড়ালে সব ধরণের মাদক পাওয়া যেতো। বেশ কয়েক বছর আগে তার বোনের স্বামী ওল্টু মাদকের টাকা ভাগাভাগি নিয়ে মাদক ব্যবসায়ীদের গুলিতে মারা যান। তারপর থেকে কয়েক বছর আলমডাঙ্গা রেলস্টেশন এলাকায় মাদক ব্যবসা বন্ধ ছিলো। সম্প্রতি কয়েক মাস ধরে আবারও মাদক ব্যবসায় সক্রিয় হয়ে উঠেছে আলোমতি পরিবার। গত ৫ এপ্রিল রাতে আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ মাসুদুর রহমান সঙ্গীয় অফিসার ফোর্স নিয়ে অভিযান চালিয়ে ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট বিক্রয়কালে কামালপুর বটতলা থেকে তাকে গ্রেফতার করে। তার নিকট থেকে উদ্ধার করে ২০পিস ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট ও মাদক বিক্রয়ের নগদ ১ হাজার টাকা। তার বিরুদ্ধে মাদক মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গত ৫ এপ্রিল রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে আরেক মাদক স¤্রাট মাদক, চুরিসহ প্রায় ১ ডজন মামলার আসামি রুবেলকে (৩২) গ্রেফতার করেছে। রুবেল হোসেন দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসা করে আসছেন। শুধু মাদক ব্যবসাই নয় তার বিরুদ্ধে রয়েছে শহরের চুরির অভিযোগ। তিনি মাদক ব্যবসার পাশাপাশি চুরিও করেন। ৫ এপ্রিল রাতে গাঁজা বিক্রয়কালে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। তার নিকট থেকে ১শ ৫০ গ্রাম গাঁজা ও গাঁজা বিক্রয় করা নগদ ৭ হাজার ৪শ টাকা উদ্ধার করে। তার বিরুদ্ধে মাদক মামলা দায়ের করা হয়েছে।
৫ এপ্রিল রাতে ঘোলদাড়ি ক্যাম্প পুলিশ অভিযান চালিয়ে নাগদাহ দক্ষিণপাড়ার মৃত জবেদ আলীর ছেলে আশরাফুল (৫০) ও একই গ্রামের সাবর আলীর ছেলে ইসরাফিলকে (২০) গ্রেফতার করে। তারা বেশ কিছুদিন ধরে মাদক ব্যবসা করে আসছিল। শনিবার রাতে গাঁজা বিক্রয়কালে তাদের গ্রেফতার করে। তাদের নিকট থেকে ৩শ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করে পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে মাদক মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গত ৬ এপ্রিল পুলিশ অভিযান চালিয়ে ওসমানপুর গ্রামের মৃত ফকির চাঁদের ছেলে মাদক ব্যবসায়ী মতিয়ার রহমান বুদো (৫৫) ও এরশাদপুর গ্রামের বাগানপাড়ার মৃত রমিজ খন্দকারের ছেলে সাগর আলীকে (৪২) গ্রেফতার করে। তাদের নিকট থেকে ১শ ৫০ গ্রাম গাঁজা ও নগদ ১ হাজার উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে মাদক মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পূর্ববর্তী পোস্ট
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়, কিন্তু ট্র্যাকব্যাক এবং পিংব্যাক খোলা.