আলমডাঙ্গা ব্যুরো: আলমডাঙ্গায় ৩দিন ব্যাপি কৃষি প্রযুক্তি প্রদর্শনী মেলার সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে। আলমডাঙ্গা উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের আয়োজনে যশোর অঞ্চলে টেকসই কৃষি সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় এ মেলা ১৭ ফেব্রুয়ারি উদ্বোধন করা হয়। ১৯ ফেব্রুয়ারি বুধবার উপজেলা কৃষি অফিস চত্বরে তারুণ্যের উৎসব ২০২৫ উপলক্ষে ‘এসো দেশ বদলাই পৃথিবী বদলাই, নতুন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে’ এ শ্লোগানে মেলার সমাপনী ও বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে মেলায় আগত কৃষকদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবীদ রেহানা পারভীনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা সহকারি কমিশনার ভূমি আশীষ কুমার বসু। এসময় তিনি বলেন, তিনদিনব্যাপী এ মেলার উদ্বোধনীর দিনে প্রতিটি স্টল ঘুরে নতুন কৃষি প্রযুক্তির প্রদর্শনী দেখে আমি মুগ্ধ হয়েছি। এর মধ্যে অন্যতম ছিল কোকোপিট ব্যবহার করে শাকসবজির চারা উৎপাদন, যা নান্দনিক ও সাশ্রয়ী। কৃষকদের চারা উৎপাদনে আরও উদ্যোগী হতে হবে, কারণ সুস্থ বীজ ও চারা ছাড়া ভালো ফলন সম্ভব নয়। আরেকটি চমৎকার প্রযুক্তি ছিল প্রাকৃতিক কুলিং সিস্টেম, যা শাকসবজি সংরক্ষণের জন্য অত্যন্ত কার্যকর। এ পদ্ধতি কৃষকদের বাজারজাতকরণে সুবিধা দেবে এবং নষ্ট হওয়ার হাত থেকে ফসল রক্ষা করবে। আমাদের সবাইকে প্রযুক্তিনির্ভর কৃষি উৎপাদন বাড়াতে হবে, যাতে কৃষকরা স্বাবলম্বী হতে পারেন। কৃষক যত স্বাবলম্বী হবে, দেশের অর্থনীতিও তত শক্তিশালী হবে।
বিশেষ অতিথি ছিলেন সদ্য অবসরপ্রাপ্ত সহকারী কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আকরাম হোসেন, সহকারী কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আব্দুস সামাদ। কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ মাহমুদের উপস্থাপনায় উপস্থিত ছিলেন উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা খবিরুল ইসলাম, উপ-সহকারী কৃষি অফিসার আহসান উল হক, মসলে উদ্দিন, আল হেলাল উদ্দিন, খাদেমুল বাশার, মতিয়ার রহমান, রাহিমা খাতুন, নাজমুল হোসেন, জাহিদুল ইসলাম, আব্দুর রফিক, আফজাল হোসেন, আব্দুল্লাহ আল মুতি, পাপিয়া খাতুন, পাপিয়া খাতুন, শারমিন, আশরাফুল আলমসহ বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আগত কৃষক কৃষাণী প্রমুখ। মেলায় ১৩টি স্টলে ফসল, ফল, কৃষি যন্ত্রপাতি, মাছসহ বিভিন্ন কৃষি পণ্য প্রদর্শণী করা হয়। পরে কৃষক-কৃষাণী ও অফিসারদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
পূর্ববর্তী পোস্ট
পরবর্তী পোস্ট
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়, কিন্তু ট্র্যাকব্যাক এবং পিংব্যাক খোলা.