আলমডাঙ্গা ব্যুরো: ৩য় ধাপে আগামী ২৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য আলমডাঙ্গা উপজেলার ১৩টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন মোট ৬৩ জন। এদের মধ্যে ৩ জন প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেছেন। বাকী ৬০ জন চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে ৩০ জনই আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী। তারা সকলেই স্বতন্ত্রের ব্যানারে ভোটের মাঠে নেমেছেন। বাকী ৩০ জন প্রার্থীর মধ্যে ১৩ জন আওয়ামীলীগ দলীয়, ৮ জন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, ৬ জন জামায়াত ও ৩ জন বিএনপির নেতা যারা স্বতন্ত্রের ব্যানারে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন।
৩য় ধাপে আগামী ২৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য আলমডাঙ্গা উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নের মধ্যে ১৩টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন। গত ২ নভেম্বর ছিলো মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ দিন। শেষ দিন পর্যন্ত ১৩টি ইউনিয়নে মোট ৬৩ জন চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। ১১ নভেম্বর মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিনে ৩ জন প্রার্থিতা প্রতাহার করেছেন। ৬০ জনের মধ্যে প্রতি ইউনিয়নে একজন করে মোট ১৩ জন আওয়ামীলীগ সমর্থিত প্রার্থী রয়েছেন। তাছাড়া ১৩টি ইউনিয়নের মধ্যে এবার ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ৮ ইউনিয়নে ১ জন করে দলীয় প্রার্থী, জামায়াত ৬ ইউনিয়নে ৬ জন ও বিএনপি ২ ইউনিয়নে ৩ জন স্বতন্ত্রের ব্যানারে মাঠে নেমেছেন। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশে ভাংবাড়িয়া, গাংনী, খাসকররা, চিৎলা, খাদিমপুর, হারদী, জেহালা ও ডাউকী ইউনিয়নে তাদের মনোনীত প্রার্থী দিয়েছেন। তাছাড়া, জামায়াত উপজেলার ডাউকী, কালিদাসপুর, কুমারী, হারদী, ভাংবাড়িয়া ও গাংনী ইউনিয়নে প্রার্থী দিয়েছেন। বিএনপি চিৎলা ইউনিয়নে একজন ও বাড়াদী ইউনিয়নে দুইজন বিএনপি নেতা দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করেই নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। বাকী ৩০ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহীরা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। অধিকাংশ ইউনিয়নে আওয়ামীলীগ দলীয় প্রার্থীদের বিজয়ের পথে পঁচা শামুক হয়ে দাঁড়িয়েছেন দলীয় বিদ্রোহী প্রার্থীরা।