আলমডাঙ্গা ব্যুরো: ডিলিং লাইসেন্স না থাকায় আলমডাঙ্গা শহরের কাপড়পট্টি ও গার্মেন্টস পট্টিতে ১০ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ও একজনকে মোটরযান আইনে ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানা করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসনের একটি এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট টিম এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।
জানাগেছে, আলমডাঙ্গা শহরের অত্যাবশ্যকীয় পণ্যনিয়ন্ত্রণ আইনের আওতাধীন কয়েকশ’ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের অধিকাংশ মালিকরা জানেন না যে ডিলিং লাইসেন্স কি, কিভাবে করতে হয়। প্রায় প্রতি বছরই ভ্রাম্যমাণ আদালতে ডিলিং লাইসেন্স না থাকায় জরিমানা করেন। তবুও ব্যবয়ায়ী লাইসেন্স করেন না। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বিএম তারিক-উজ-জামান, সহকারী কমিশনার ও বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. হাবিবুর রহমান, সহকারী কমিশনার ও বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকির হোসেন আলমডাঙ্গা শহরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। এসময় ডিলিং লাইসেন্স না থাকায় গার্মেন্টস ও কাপড়পট্টির ব্যবসায়ী শিমুল হোসেনকে ১ হাজার টাকা, ফরিদুল ইসলামকে ১ হাজার টাকা, রাহুল বিশ^াসকে ১ হাজার টাকা, সাজেদুল হককে ১ হাজার টাকা, জহুরুল ইসলামকে ১ হাজার টাকা, মিজু আহমেদকে ১ হাজার টাকা, জাহিদুল ইসলামকে ৩ হাজার টাকা, বজলুর রহমানকে ১ হাজার টাকা, ফারুক হোসেনকে ৩ হাজার টাকা, আনোয়ার হোসেনকে ৩ হাজার টাকা এবং মোটরযান অধ্যাদেশ আইনে আবু তাহেরকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। এসময় আলমডাঙ্গা বণিক সমিতির সভাপতি আরেফিন মিয়া মিলন, ক্যাশিয়ার আলাউদ্দিন, আলমডাঙ্গা থানার এসআই আমিরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। ভ্রাম্যমাণ অভিযান শেষে অত্যাবশ্যকীয় পণ্যনিয়ন্ত্রণ আইনের আওতাধীন সকল ব্যবসায়ীদের ডিলিং লাইসেন্স করার জন্য সময় বেধে দেয়া হয়।
অপরদিকে, দুপুর ১২টার দিকে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রেওয়ানা নাহিদ চুয়াডাঙ্গা ওষুধ প্রশাসনের সহকারী পরিচালক মুহাসীনিন মাহবুবকে সাথে নিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। শহরের পুরাতন বাসস্টান্ডে স্বাধীনতা স্তম্ভ মোড়ে বেশ কয়েকটি ফার্মেসি ও হোমিও হলে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় শাপলা মেডিকেল হলের মালিককে ৩ হাজার টাকা, আল আমীন ফার্মেসির মালিককে ২ হাজার টাকা ও সজীব মেমোরিয়াল হোমিও হলের মালিককে ১ হাজার টাকা জরিমানা করেন। ভ্রাম্যমাণ অভিযানে বেশকিছু মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ জব্দ করেন। পরে সেগুলো ধংস করে ফেলা হয়। এসময় ভূমি অফিসের পেশকার সজিবুর রহমান, সার্টিফিকেট সহকারী শাহাদ হোসেন, আলমডাঙ্গা থানার এসআই আমিরুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্সসহ উপস্থিত ছিলেন।