আলমডাঙ্গা ব্যুরো: আলমডাঙ্গায় শ্যালকের স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে আব্দুল জলিল মোল্লা নামের এক গ্রাম পুলিশকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধর্ষণের শিকার এক সন্তানের জননীকে পুলিশী হেফাজতে নেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আব্দুল জলিল মোল্লা আলমডাঙ্গা উপজেলার হারদী ইউনিয়নের প্রাগপুর গ্রামের মৃত সামসুদ্দিন মোল্লার ছেলে ও হারদী ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম পুলিশ হিসেবে কর্মরত।
মামলার বিবরণে জানা যায়, উপজেলার হাটুভাঙ্গা গ্রামের ধর্ষণের শিকার ওই নারীর সাথে ১৬ বছর আগে হাটবোয়ালিয়া বাজারের জনৈক ব্যক্তির বিয়ে হয়। বিয়ের পর এক সন্তান রেখে ৮ বছর আগে ওই নারীর স্বামী মালয়েশিয়া যান। মালয়েশিয়া যাওয়ার পর ওই নারীর সাথে পরিচয় হয় পার্শ্ববর্তী মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার আমতৈল গ্রামের এক ব্যক্তির। প্রবাসী স্বামীর সাথে বনিবনা না হওয়ায় গত ৬ মাস আগে তাকে তালাক দিয়ে জনৈক আরেক ব্যক্তিকে বিয়ে করেন ধর্ষণের শিকার ওই নারী। স্বামীর ভগ্নিপতি আব্দুল জলিল মাঝে মধ্যে ওই বাড়িতে আসা-যাওয়া করতেন। ওই নারীকে কুপ্রস্তাবও দিতেন।
গত ২৯ মার্চ ওই বাড়িতে বেড়াতে আসেন আব্দুল জলিল মোল্লা। এসময় ওই নারী বাড়িতে একা ছিলেন। আত্মীয়ের সুবাদে ঘরের মধ্যে কথা বলার সময় আব্দুল জলিল তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন। এ ঘটনায় ধর্ষণের শিকার ওই নারী বাদী হয়ে বুধবার রাতে আলমডাঙ্গা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। পুলিশ পরদিন সকালেই প্রাগপুর গ্রাম থেকে আব্দুল জলিল মোল্লাকে গ্রেফতার করে।
আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম জানান, ধর্ষণের স্বীকার ওই নারী ২৯ মার্চ রাতে আলমডাঙ্গা থানায় উপস্থিত হয়ে বিষয়টি জানান। রাতেই মামলা দায়ের পূর্বক অভিযুক্তকে গ্রেফতারে অভিযান চালানো হয়। ভোরে তাকে গ্রেফতার করা হয়। অভিযুক্ত গ্রাম পুলিশ আব্দুল জলিল মোল্লাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।