হাটবোয়ালিয়া/ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি: আলমডাঙ্গায় বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ মেজর বজলুল হুদার ১৫তম শাহাদত বার্ষিকী পালিত হয়েছে। দীর্ঘ ১৫ বছর পর ২৮ জানুয়ারি হাটবোয়ালিয়া গ্রামে মেজর বজলুল হুদার পরিবার ও এলাকাবাসী মেজর হুদার ১৫তম শাহাদত বার্ষিকী উপলক্ষে কবর জিয়ারত, আলোচনা, দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করে। গতকাল মঙ্গলবার ফজরের নামাজের পর নগর বোয়ালিয়া ও হাটবোয়ালিয়া কেন্দ্রীয় কবরস্থানে মেজর বজলুল হুদার কবরস্থানে তার স্বজনরা ও এলাকাবাসী সমবেত হয়ে কবর জিয়ারত দোয়া করেন। সকাল ৮টায় মেজর হুদার বাড়ি ‘বাংলাদেশ হাউজ’র সামনে আলোচনা অনুষ্ঠান ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম মাস্টার প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন।
তিনি বলেন, ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকার প্রহসনের বিচারের মাধ্যমে ২০১০ সালের ২৮ জানুয়ারি মেজর হুদাসহ কর্নেল ফারুক, কর্নেল শাহরিয়ার, কর্নেল এ কে মহিউদ্দীনকে ফাঁসির মাধ্যমে হত্যা করা হয়। তবে মেজর হুদার লাশ দেখে বুঝা গেছে তাকে জবাই করে হত্যা করা হয়েছে। আমরা এই হত্যাকা-ের জন্য খুনি হাসিনার বিচার চাই।
সকাল ৯টায় হাট বোয়ালিয়া হাফিজিয়া মাদরাসায় দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। দোয়া পরিচালনা করেন হাফেজ মাওলানা মুফতি সাঈদ হাসান সালিম। স্বদেশের টানে জীবনের মায়া তুচ্ছ করে ১৯৭১ সালে পশ্চিম পাকিস্তানের দুর্গম সীমান্ত অতিক্রম করে মহান মুক্তিযুদ্ধে যোগদান ও ২নং সেক্টর ‘কে’ ফোর্সের অধীনে অসম সাহসিকতার সাথে যুদ্ধ পরিচালনাকারী সামরিক কর্মকর্তা। মহান মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক ও প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা জেনারেল ওসমানীর পিএস, সুযোগ্য ডিপ্লোম্যাট, জাতীয় সংসদ সদস্য, ঐতিহাসিক আগস্ট বিপ্লবের মহান নায়ক, ফ্রীডম পার্টির সেক্রেটারি জেনারেল বিপ্লবী জননেতা শহীদ মেজর বজলুল হুদার ১৫তম শাহাদত বার্ষিকীতে তার প্রতি বিন¤্র শ্রদ্ধা ও সশ্রদ্ধ সালাম জানিয়েছে এলাকাবাসী।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়, কিন্তু ট্র্যাকব্যাক এবং পিংব্যাক খোলা.