আলমডাঙ্গা ব্যুরো: হত্যার উদ্দেশ্য বাড়িতে সন্ত্রাসীদের হামলার প্রতিবাদে বিচার চেয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন আলমডাঙ্গার দুর্লভপুর গ্রামের পিয়াল মাহমুদ সাদ্দাম। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে তার বাড়িতে সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সাদ্দাম উল্লেখ করেন, গত ২ ফেব্রুয়ারি তিনি তার গ্রামের বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। তার অবস্থান সন্ত্রাসীরা টের পেয়ে রাত আনুমানিক সাড়ে ১০টার দিকে গ্রামের নব্য জামায়াত কর্মী সন্ত্রাসী শহিদুল ইসলাম ও তার দুই ছেলে রাশেদ মামুন, রাকিবুল ইসলামসহ ৫-৬ জন অজ্ঞাতনামা জঙ্গি সন্ত্রাসী রামদা, চাইনিজ কুড়াল ও বস্তায় থাকা আগ্নেয়াস্ত্র জাতীয় অস্ত্র নিয়ে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্য আমার বাড়ির প্রধান ফটকে হামলা চালায় ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে ডাকতে থাকে। এসময় আমার মা ফজিলাতুন্নেছা গেটে তালা লাগিয়ে দেন। ফলে সন্ত্রাসীরা আর বাড়িতে ঢুকতে পারে না। তারা আমাকে হত্যার হুমকি দিয়ে চলে যায়।
লিখিত বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, আমার বাড়ির প্রধান ফটকে সিসি ক্যামেরায় ধারণ হওয়া সন্ত্রাসীদের ভিডিও ফুটেজ পুলিশের বিভিন্ন শাখায় সরবরাহ করা হয়েছে। তিনি বলেন, গত ৩ ফেব্রুয়ারি আমার ফুফাতো ভাই সোবহান আলী সকাল সাড়ে ৭ টার দিকে মাঠে যাওয়ার পথে সন্ত্রাসী রাশেদ মামুন ও রাকিবুল ইসলাম তার পথ আটকিয়ে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে মাঠ থেকে ফেরৎ পাঠিয়ে দেয়। শুধু এই না গত ২০০২ সালে আমার পিতাকে সুপরিকল্পিত ভাবে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। এরপর আমাদের পরিবারের নিরাপত্তা ও পুলিশ ক্যাম্পের জন্য আমরা জমি প্রদান করি। আমার পিতা নিহতের পর আমাদের জমি জায়গা ভোগদখল করতে না পারায় এই সন্ত্রাসীরা আমাকে বিভিন্নভাবে হয়রানি ও হত্যার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, এইসব ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার জন্য গত ৪ ফেব্রুয়ারি তারা নিজেদের মোটরসাইকেল নিজেরাই ভাংচুর করে নাটক সাজিয়ে মিথ্যা সংবাদ সম্মেলন করে আমাদের ওপর দোষ চাপানোর অপচেষ্টা চালিয়েছে। যা মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও দুঃখজনক। তিনি সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে নাটকীয় এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও সুবিচার দাবি করেছেন।
পূর্ববর্তী পোস্ট
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়, কিন্তু ট্র্যাকব্যাক এবং পিংব্যাক খোলা.